Earthquake Risks in Nepal: ফের বিরাট ভূমিকম্প হতে পারে নেপালে, তৈরি থাকুন! ভয়াবহ আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

রবিবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। তবে এখানেই আতঙ্কের শেষ এমনটা নয়। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ফের কাঁপতে পারে নেপাল। রবিবার নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল তার মাত্রা ছিল রিক্টার স্কেলে ৬.৪। অন্তত ১৫০জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভূমিকম্পে। বহু মানুষ ঘর ছাড়া। বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। মিশে গিয়েছে মাটির সঙ্গে। নেপালের প্রত্যন্ত এলাকায় একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। এদিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ই খবর আসে দিল্লি এনসিআরে ফের সোমবার বিকালে ভূকম্প অনুভূত হয়েছে । এর উৎসস্থল ফের নেপাল বলে খবর। 

এদিকে রবিবার নেপালের পাহাড়ি এলাকায় ভূকম্পের জেরে একের পর এক বাড়ি ভেঙে যায়। ধস নামে পাহাড়ে। রাস্তা ধসে গিয়েছে। ২০১৫ সালে ভয়াবহ ভূকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেবার মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৯০০০ জনের। অন্তত ৫০০,০০০ বাড়ি ভেঙে গিয়েছিল। 

তবে ভূবিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এর থেকেও বড় ও বিধ্বংসী ভূকম্প অপেক্ষা করে আছে নেপালের জন্য। সেটা শীঘ্রই আসতে পারে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, ন্যাশানাল সোসাইটি ফর আর্থকোয়েক টেকনোলজি নেপালের সিসমোলজিস্ট ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডঃ আমোদ দীক্ষিত জানিয়েছেন,  নেপালের কেন্দ্রীয় বেল্টে এই ভূকম্প হয়েছিল। এটাকে সক্রিয়ভাবে শক্তি মুক্তকরণ সেক্টর বলে উল্লেখ করা যায়। তবে এখানে বিরাট ভূকম্প হওয়ার নজির রয়েছে। ইন্ডিয়ান ও ইউরেসিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে এই ভূকম্প হয়েছিল।এই দুটি প্লেট ধারাবাহিকভাবে একে অপরের দিকে ঠেলছে। এর জেরে ভূত্বকে কম্পন দেখা দিতে পারে। 

তাঁর মতে, ২০১৫ সালের ভূকম্পে নেপালের পশ্চিম ও পূর্ব বেল্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এটা কেন্দ্রীয় বেল্টকে কিছু করতে পারেনি। কিন্তু রবিবার যে ভূকম্প হয়েছে সেটা অল্প শক্তি নির্গত করেছে। তবে এরপর আরও শক্তি নির্গত হতে পারে। এর জেরে অন্তত রিক্টার স্কেলে ৮ মাত্রার উপর ভূকম্প যে কোনও সময় হতে পারে। 

ওই ভূবিজ্ঞানী স্থানীয়দের সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ বিরাট মাত্রায় ভূমিকম্প হলে বিরাট বিপর্যয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকম্প হলে তা যেন দ্রুত মোকাবিলা করা যায়, প্রাণহানি কম হয় সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ওই ভূবিজ্ঞানী জানিয়েছে দেশের সমস্ত মানুষকে সরানো সম্ভব নয়। গোটা নেপালটা সিসমিক জোনের মধ্য়ে পড়ছে। আমরা বাড়ি তৈরির প্ল্যানগুলো বদলাতে পারি। এটা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় করা হয়েছে।