Elephant attack: কোচবিহারে হাতির হানায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য

কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা এবং ঘোকসাডাঙায় হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, এর আগেও হাতির হানায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার মৃতদের শোকার্ত পরিবারে সঙ্গে দেখা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: হাতির তাণ্ডবে কোচবিহারে মৃত্যু ৪ গ্রামবাসীর, বনদফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

শনিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী মৃতদের পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্ব। তাদের সঙ্গে দেখা করে এদিন দলের তরফেও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এরপর উদয়ন গুহ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বনদফতর আগামী ১০ দিনের মধ্যে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার জলদাপাড়া বনদফতরের বনকর্মীরা একটি হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে জলদাপাড়া জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছে। তবে ওই হাতির পালে একটি শাবক থাকায় গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালাচ্ছে হাতির দল। জানা গিয়েছে, হাতির হামলায় ৪ জনের মৃত্যু ছাড়াও মাথাভাঙা ও শীতলকুচি এলাকায় রাতে হাতির হামলায় আরও দুই গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। তারা মাথাভাঙা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে, মৃতদের নাম হল রেখারানি রায় (৬৮), জয়ন্তী সরকার (৪৬), বুদ্ধেশ্বর অধিকারী (৬০) এবং আনন্দ প্রামাণিক (৪০)। এরমধ্যে বুদ্ধেশ্বর এবং আনন্দ মাথাভাঙ্গার পারাডুবি গ্রামের বাসিন্দা। বাকি দুজন ঘোকসাডাঙার উনিশবিশা গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে গ্রামের মাঠের জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন বুদ্ধেশ্বর অধিকারী। সেই সময় আচমকা হাতির হামলায় তার প্রাণ যায়। আনন্দ প্রামাণিকও মাঠে কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকা হাতির হামলায় তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, উনিশবিশা গ্রামে যে হাতির দল ঢুকে পড়েছিল সেটি দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গ্রামবাসীদের হামলা চালিয়েছিল। তখনই বাজারে ওই দুই মহিলাকে হাতি পিষে দেয়। এই ঘটনার পরে বনদফতরের ভূমিকায় বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।