Elephant attack: পুরনো বন্দুক থেকে বের হল না গুলি, হাতির হানায় আলিপুরদুয়ারে প্রাণ গেল বন কর্মীর

গত কয়েকদিন ধরে হাতির হানায় মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে বাংলায়। শুক্রবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় হাতির হানায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এবার হাতির হানায় মৃত্যু হল এক বনকর্মীর। কর্মজীবনের প্রথমে মাহুত ছিলেন ওই বনকর্মী। রবিবার লোকালয়ে চলে আসা হাতির দল জঙ্গলে তাড়াতে গিয়ে তাঁকে শুঁড়ে করে তুলে আছাড় মারে হাতি। জানা গিয়েছে, হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে বন্দুক তাক করে গুলি চালাতে গিয়েছিলেন ওই বনকর্মী। তবে তাঁর কাছে যে বন্দুক ছিল তা অনেক পুরনো হওয়ায় গুলি চলেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই বনকর্মীর নাম রিঠে সুব্বে (৫০)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়ায়।

আরও পড়ুন: কোচবিহারে হাতির হানায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য

জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে জলদাপাড়া উদ্যানের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে একদল হাতি ঢুকে পড়েছিল। সেই হাতির দলকে জঙ্গলে তাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন বনকর্মীরা। সেইসময় একটি দলছুট হাতি তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। সেই সময় অন্যান্য বনকর্মীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও রিঠে পালাতে পারেননি। তখন হাতিটি শুঁড়ে করে তুলে আছাড় মারে ওই বনকর্মীকে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ফালাকাটা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই বনকর্মীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই কর্মীর পরিবার যাতে ক্ষতিপূরণ পায়, সবরকমভাবে সেই চেষ্টা করা হবে। 

জানা গিয়েছে, কর্মজীবনের প্রথমে বনকর্মী একজন মাহুত ছিলেন। এরপর তাঁর হাত ভেঙে যাওয়ায় তিনি সাধারণ বনকর্মী হিসেবে যোগ দেন। জানা গিয়েছে , ওই বনকর্মীর হাতির আচরণ সম্পর্কে ভালই জ্ঞান ছিল। ফলে এভাবে যে তিনি মারা যেতে পারেন তা কেউই বিশ্বাস করতে পারছে না। অন্যদিকে অভিযোগ উঠেছে , ওই বনকর্মীকেও যে বন্দুক দেওয়া হয়েছিল সেই বন্দুকটি ঠিকমতো কাজ করেনি। হাতি সামনে চলে আসায় তিনি বন্দুক উঁচিয়ে গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বন্দুকটি মান্ধাতার আমলের হাওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গুলি বের হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এ নিয়ে বনদফতরের ভূমিকায় উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় বন দফতরের প্রযুক্তি আরও উন্নত করা প্রয়োজন বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। প্রসঙ্গত, এর আগের দিন ঝাড়গ্রামে হাতির হামলা থেকে বাঁচতে এক ব্যক্তি পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকেন। বারবার লোকালয়ে হাতির হানায় বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।