Paris Airport: মসজিদ বানিয়ে ফেললেন কখন? প্যারিস বিমানবন্দরে দল বেঁধে নমাজ পড়লেন মুসলিম বিমানযাত্রীরা

মল্লিকা সোনি

ফ্রেঞ্চ এয়ারপোর্টে একসঙ্গে নমাজ পড়ছেন মুসলিমরা।এই ছবিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে প্যারিসের চার্লস দে গাউলে এয়ারপোর্টের ডিপার্চার হলে দল বেঁধে প্রার্থনা করছেন মুসলিম বিমানযাত্রীরা। জর্ডনের একটি ফ্লাইটের আগে তাঁরা নমাজ পড়েন। এদিকে একদিকে যখন হামাস আর ইজরায়েলের মধ্য়ে যুদ্ধ তখন এই ছবিকে কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক দানা বাঁধতে থাকে।

এদিকে ফ্রান্সের পরিবহণ মন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এনিয়ে কঠোর মনোভাব দেখানো দরকার। এনিয়ে নিয়ম যেটা রয়েছে সেটা প্রয়োগ করা দরকার।

সেদিন অন্তত ৩০জন বিমানযাত্রী এই নমাজে অংশ নেন। ১০ মিনিট ধরে তাঁরা নমাজ পড়েন। এরপরই সেই ছবি ভাইরাল হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। টার্মিনাল ২বিতে এই নমাজ পড়েছেন তাঁরা। এএফপির রিপোর্টে তেমনটাই জানা গিয়েছে। ফ্রান্সের ক্ষেত্রে নিয়ম রয়েছে পাবলিক স্পেসে যেমন স্কুলে, পাবলিক বিল্ডিংয়ে এই ধরনের ধর্মীয় আচরণ করা যায় না। 

এদিকে এয়ারপোর্টের চিফ এক্সিকিউটিভ অফ অপারেটর অগস্টিন ডে রোমানেট এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, এটা ভুল হয়ে গিয়েছে। পুজোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। বর্ডার পুলিশকে বলা হয়েছে এটা দেখার জন্য। এই ধরনের ঘটনা নিয়ে যাতে বাড়াবাড়ি না করা হয় সেব্যপারেও অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে এক প্রাক্তন মন্ত্রী নোয়েলে লিনোয়ের লিখেছেন, এয়ারপোর্টের চিফ এক্সিকিউটিভ অফ অপারেটর কী করছিলেন যখন তাঁর এয়ারপোর্ট মসজিদ হয়ে গেল? অফিসিয়াল স্ট্যাটাসও কি বদলে ফেলা হয়েছে?

 

ফ্রেঞ্চ এমপি আসট্রিড পানোসিয়ান বউভেট জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে উপাসনার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল এই নিয়মটা প্রয়োগ করা। এমনকী এয়ারপোর্টে এটা প্রয়োগ করা দরকার।

এদিকে স্থানীয় মেয়র লাক কারভউনাস জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য করা হলে ইসলামভীতি আরও জাঁকিয়ে বসবে। সেকারণে মন্তব্য ঠিক করা বা ক্ষমা চাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।