TET fake appointment letter: ভুয়ো নিয়োগপত্র দেখিয়ে স্কুলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা, ফের কি সক্রিয় দালাল চক্র?

নিয়োগের দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে এক বছর আগে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। তারপর থেকে একের পর এক ভুয়ো নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে চাকরি বাতিল হয়েছে একাধিক শিক্ষকের। তার মধ্যে এবার ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে শিক্ষকের কাজে যোগ দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরল ৪ জন। সেক্ষেত্রে ফের চাকরিতে নিয়োগের দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে শিক্ষকদের একাংশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ এবং বাসন্তীর স্কুলে এই নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে রাজ্যে প্রথম গ্রেফতার হলেন ১ ভুয়ো শিক্ষক

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের  লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তার প্যানেলও তৈরি হয়। তবে দীর্ঘ সময় পেরোনোর পর গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১৫০৬ জনকে নিয়োগপত্র দেয় সংসদ। বিভিন্ন স্কুলে সেই নিয়োগপত্র নিয়ে অনেক শিক্ষক কাজে যোগ দেন। এখনও অনেকে যোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, সেই নিয়োগপত্র জাল করে ওই চাকরি প্রার্থীরা চাকরিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ গত ১৬ অক্টোবর পাথরপ্রতিমার মহেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিতে যান এক চাকরি প্রার্থী। তার কাছে যে নিয়োগপত্র ছিল তাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের স্ট্যাম্প ছিল। কাশীনগরের বাসিন্দা ওই প্রার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়োগপত্র দিলে তা দেখে সন্দেহ হয় প্রধান শিক্ষকের। এরপর দেরি না করে তিনি ওই প্রার্থীকে বসিয়ে রেখে ফোনে স্কুল ইন্সপেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক তারপরে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এদিকে, বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই চাকরিপপ্রার্থী স্কুল থেকে পালিয়ে যান। তবে নিয়োগ পত্রটি স্কুলে রেখে যান। 

অন্যদিকে, কাকদ্বীপ, বাসন্তীতেও একইভাবে স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিতে গিয়ে তিন ভুয়ো প্রার্থী ধরা পড়েন। যদিও তাদের দাবি, তারা প্রতারণা শিকার হয়েছেন। টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাদের। এর জন্য তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়া হয়েছিল। তারপরে তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটা যে ভুয়ো তা তাদের জানা ছিল না।

প্রসঙ্গত, নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পরেও যে দালাল চক্র এখনও সক্রিয় রয়েছে এই ঘটনায় তা স্পষ্ট। যদিও ওই প্রার্থীদের দাবি, তারা অনেক বছর আগেই দালালকে টাকা দিয়েছিলেন। তারা টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি হবে এই আশ্বাস দিয়ে তাদের টাকা ফেরানো হয়নি।