Adhir Chowdhury on CIC requitement: ‘সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে’ মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি অধীরের

মুখ্য তথ্য কমিশনার (সিআইসি) পদে হীরালাল সামারিয়াকে নিয়োগ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী। লোকসভায় বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে  ‘সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে’ এই নিয়োগ করা হয়েছে। অতীতে বিরোধী নেতারা প্রায়শই সিবিআই প্রধানদের নির্বাচন নিয়ে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তবে সিআইসি নিয়োগের বিরুদ্ধে বিরোধী নেতারা প্রতিবাদ করছেন, এই ঘটনা কার্যত বিরল।

চিঠিকে অধীর লিখেছেন, ‘লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা হিসাবে আমি যোগ্যতা বাছাই কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সিআইসি/আইসি নির্বাচনের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় ৬টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। যে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। বিরোধীদের মুখ হিসাবে আমি এই কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আমি সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম না।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল এবং অফিসে শপথও নেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের কার্যকলাপ ইঙ্গিত করে পুরো বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত ছিল।’

একে অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ বলে মন্তব্য করে অধীর লিখেছেন,’আপনি এই সত্যটি মেনে নেবেন যে এই ধরনের কাজ গণতান্ত্রিক নীতি ও নিয়মের বিরোধী।’

প্রসঙ্গত, হীরালাল সামারিয়াকে সরকারি ভাবে মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করার পর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মুর্ম।

সিআইসি নির্বাচন করার জন্য তিন সদস্যের প্যানেলে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং লোকসভার বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতা রয়েছেন। অধীর চৌধুরী জানান, বৈঠকের সময় পরিবর্তনের জন্য তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, সরকার তাঁকে সামরিয়াকে নির্বাচনের বিষয়ে অবহিত করেনি।

চিঠি অধীর আরও লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি বিষয়টি আপনার নজরে আনছি। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমস্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং পদ্ধতিগুলিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তথ্যের অধিকার আইন, ২০০৫-এ, আমাদের গণতান্ত্রিক নিয়ম এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিআইসি/আইসি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় বিরোধীরাও অংশ নেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিলে এই গণতন্ত্রকে শেষ করলেন।’

তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং রীতিগুলো যাতে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে না যায় তার জন্য আপনি ব্যবস্থা নিন।’