SC lauds HC judge: মন্ত্রীর নামে পুরনো মামলা শুরুর নির্দেশ হাই কোর্টের বিচারপতির, ‘থ্যাঙ্ক গড…’, প্রশংসায় CJI

তামিলনাড়ুর শিক্ষামন্ত্রী কে পনমুদির আয় বহির্ভূত সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি পুরনো মামলা নতুন করে চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন মাদ্রাস হাই কোর্টের এক বিচারপতি। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তামিল মন্ত্রী। তবে পুরনো মামলা নতুন করে চালু করায় মাদ্রাস হাই কোর্টের বিচারপতিরই প্রশংসা করল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস হয়েছিলেন তামিল মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী। তবে উচ্চ আদালতের বিচারপতি আনন্দ বেঙ্কটেশ নতুন করে এই মামলা শুরু করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী। তবে তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই মামলায় গতকাল বলেন, ‘থ্যাঙ্ক গড যে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় আনন্দ বেঙ্কটেশের মতো বিচারপতিরা আছেন। এই মামলায় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি কী করলেন? তিনি এক ট্রায়াল কোর্ট থেকে অন্য ট্রায়াল কোর্টে মামলাটি পাঠিয়ে দিলেন? এই ক্ষমতা তাঁকে কে দিয়েছে? আর সেই মামলায় বেকসুর খালাস দেওয়া হল অভিযুক্তদের।’ জাস্টিস চন্দ্রচূড় বলেন, মামলা নতুন করে শুরু করার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বেঙ্কটেশ নির্দিষ্ট সব কারণ উল্লেখ করেছেন।

এদিকে তামিল মন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রীর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করছিলেন কপিল সিব্বল এবং মুকুল রোহতগি। দুই বর্ষীয়ান আইনজীবীই বিচারপতি আনন্দ বেঙ্কটেশের নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব হন। তবে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, আমার মনে হয় বিচারপতি আনন্দ বেঙ্কটেশ একদম ঠিক কাজটাই করেছেন। মুকুল রোহতগি এবং কপিল সিব্বলের অভিযোগ ছিল, বিচারপতি আনন্দ বেঙ্কটেশের নির্দেশে পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে। তবে সুপ্রিম বেঞ্চ বলে, ‘বিচারপতি আনন্দ বেঙ্কটেশ আপনাদের এবং সরকারি আইনজীবীকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। আপনারা সেখানেই নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারবেন।’

প্রসঙ্গত, কে পনমুদি এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তাঁদের আয় বহির্ভূত সম্পত্তির পরিমাণ বেরিয়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পাঁচ বছরে ডিএমকে সররারে পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে এআইএডিএমকে সরকারে এলে দুর্নীতির প্রেক্ষিতে মামলা হয় পনমুদির বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে এই মামলায় একবার নিম্ন আদালত বেকসুর খালাস করে পনমুদিকে। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়কে খারিদ করে। ২০১৫ সালে নতুন করে তদন্ত শুরু হয় পনমুদির বিরুদ্ধে। পরে চলতি বছরের জুন মাসে ফের নিম্ন আদালতে বেকসুর খালাস হন পনমুদি। পরে অগস্ট মাসে মাদ্রাস হাই কোর্টের বিচারপতি নতুন করে এই মামলা শুরু করার নির্দেশ দেন।