দূষণের জেরে উধাও তাজমহল! দিওয়ালির আগে মনমরা পর্যটকরা

চড়ছে শীতের পারদ। আর ফের একবার খবরের শিরোনামে ভারতের রাজধানী দিল্লি। তবে এর কারণ শীত নয়, দিন দিন বাড়তে থাকা দূষণই এর নেপথ্যে। গত বেশ কিছু বছর ধরেই আগ্রা ও আশেপাশের এলাকায় দূষণের সার লাগামছাড়া। তার পভাব পড়ছে স্থানীয় আবহাওয়ায়‌। সোমবার সকালে তাজমহলের নিকটবর্তী শাহজাহান গার্ডেনে বাতাসের গুণমান মাপা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই-এর মান ২৯৪।‌ যাকে আবহাওয়া বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে ‘পুওর’ বা শোচনীয় অবস্থা বলে ধরা হয়।  কুয়াশা নয়, ঘন ধোঁয়াশাতেই ঢেকে রয়েছে গোটা এলাকা। অবস্থাই এমনই যে খালি চোখে তাজমহলও দেখা যাচ্ছে না।

(আরও পড়ুন: ইনফোসিসের আমেরিকার ইউনিটে সাইবার হানা! মূর্তির মন্তব্যই দায়ী? জল্পনা তুঙ্গে)

তবে দূষণের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (সিপিসিবি)। বোর্ডের আধিকারিকদের কথায়, শুধুই দূষণের কারণে এমনটা হচ্ছে না। বাতাসের আর্দ্রতা ও কুয়াশাও এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন সংস্থার কর্তারা। খোলা জায়গায় কুয়াশা আরও জোরালো হচ্ছে বলে দাবি। সোমবার সকালে শাহজাহান গার্ডেনে দূষণের মাপ কত? এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অর্থাৎ বাতাসের গুণমান মাপার যন্ত্র জানাচ্ছে ২৯৪। ০ থেকে ৫০০-এর স্কেলে মাপা হয় বায়ুদূষণের পরিমাণ। সেই নিরিখে ২৯৪ মাপকে অনেকটাই দূষিত বায়ুর তালিকায় ধরা হয়। অন্যদিকে বায়ুদূষণ মাপার আরেকটি মাপকাঠি হল পার্টিকুলেট ম্যাটারের উপস্থিতি। পার্টিকুলেট ম্যাটারই মূলত বায়ুকে দূষিত করে। এগুলো বিভিন্ন ধাতব ও অধাতব দূষক। বাতাসে কতটা পরিমাণে এই ধরনের উপাদান রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন বিজ্ঞানীরা‌। 

(আরও পড়ুন: মিশর নয়, অন্য এক দেশের মাটির তলায় রয়েছে পৃথিবীর প্রাচীনতম পিরামিড! কোথায় সেটি)

তাজমহলের আশেপাশের এলাকায় সকাল দশটা নাগাদ পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫-এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি (পিএম ২.৫ দূষকের একটি আকার)। অন্যদিকে দুপুর হলে বাতাসে বাড়তে থাকে পিএম ১০-এর পরিমাণ। যা স্টেশন ও যানজটপূর্ণ এলাকায় বেড়ে দাঁড়ায় ২২৯-এ। তবছ সিপিসিবি-এর একটি বুলেটিন জানাচ্ছে অন্য তথ্য। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার সকালে বাতাসে দূষণের পরিমাণ ১৬৫। যাকে ‘মাঝারি’ দূষণের আওতায় ধরা হয়। দূষণের মাপ যাই হোক, এই ধোঁয়াশার মধ্যেই কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে শহরের অন্যতম আকর্ষণ তাজমহল। দিওয়ালির আখেই খালি চোখেদেখা যাচ্ছে না তাজমহল‌। যা বেশ উদ্বেগের বলেই মনে করছেন পরিবশ বিজ্ঞানীরা।