Man kills wife for receiving calls: ফোন তোলেননি স্ত্রী, ২৩০ কি.মি. সফর করে বউকে খুন পুলিশকর্মী স্বামীর

সন্দেহ, স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত। সেই সন্দেহ মনে পুষে রেখেই স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন ৩২ বছর বয়সী কিশোর ডি। এদিকে, স্ত্রী প্রতিভা তাঁর ফোন ধরছিলেন না। এরপরই ক্ষোভের অন্ত রাখেননি স্বামী কিশোর ডি। পেশাগতভাবে কিশোর, কর্ণাটকের চামরাজনগর পূর্ব পুলিশ স্টেশনের কনস্টেবল। সেখান থেকে ২৩০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তিনি স্ত্রীর কাছে গিয়ে তাঁকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত নিজেও বিষ খেয়েছেন বলে খবর।

সদ্য কিশোরের স্ত্রী প্রতিভা হসকোটে নিজের গ্রামে এক পুত্র সন্তানকে জন্ম দেন। প্রতিভার পৈতৃক গ্রাম কালাথুর। সেখানেই তিনি জন্ম দিয়েছেন তাঁর সন্তানকে। গত এক বছর বিয়ে হয়েছে কিশোর ও প্রতিভার। এদিকে, ক্রমাগত সন্দেহের বশে স্ত্রীয়ের ফোন ঘাঁটতেন কিশোর। ফোনে প্রতিভা কাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তা নিয়ে খোঁজ রাখতেন কিশোর। এদিকে, কিশোর সন্দেহ প্রকাশ করতে থাকেন, প্রতিভার কলেজের পুরুষ সঙ্গীদের ঘিরে। একদিন বিকেলে কিশোর, প্রতিভার মধ্যে ঝগড়া মাথা চাড়া দিতে থাকে। কিশোর ও প্রতিভা ফোনে ঝগড়া করতে থাকেন। কাঁদতে থাকেন প্রতিভা। তখন প্রতিভার মা এসে ফোন কেড়ে, ফোন কেটে দেন। তিনি জানাচ্ছেন, যাতে সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়ার পর প্রতিভার শরীরে ওই ঝগড়ার আঁচ বা মানসিক চাপ না পড়ে, তার জন্যই তিনি ফোন কেটে দেন। তিনিই মেয়েকে বলেন আর স্বামী কিশোরের ফোন ধরতে হবে না। ফলে কিশোর ফোন করে যেতে থাকেন, আর প্রতিভা ফোন ধরেননি। অন্যদিকে, কিশোরের রাগ বাড়তে থাকে।

ততক্ষণে ১৫০ টি ফোন কল প্রতিভাকে করেন কিশোর। ফোন যায় সারা রাত। সকালে উঠে প্রতিভা সমস্তটা দেখতে পেয়ে চমকে ওঠেন। বাবা মাকে জানান যে স্বামীর থেকে এয়েছে ১৫০ টি ফোন কল। এদিকে, রাগ ধরে রাখতে না পেরে, ২৩০ কিলোমিটার পার করে চামরাজনগর থেকে প্রতিভার বাড়ির দিকে রওনা হন কিশোর। পোকা মারার বিষ খেয়ে তিনি সেখানে যান। লক্ষ্য ছিল স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় খুন। এরপর ছাদের ঘরে স্ত্রী প্রতিভাকে নিয়ে গিয়ে তিনি শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। প্রতিভার মা গিয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকেন। জানা যাচ্ছে, ১৫ মিনিট পর ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন কিশোর। রিপোর্ট বলে, এরপর শাশুড়িকে জানান, তাঁর মেয়ে প্রতিভাকে কিশোর খুন করেছেন।