Meteorite on earth: মঙ্গলের আগ্নেয়গিরি থেকে পাথর ছিটকে এল পৃথিবীতে! নেপথ্যে বড় কারণ

মাঝে মাঝেই মহাকাশ থেকে বড় বড় উল্কা পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে। বিশাল আগুনে সেই পাথরগুলির উৎস দূরের কোনও গ্রহ বা নক্ষত্রও হতে পারে। তবে কিছু উল্কা মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেও আছড়ে পড়ে পৃথিবীতে। পম্প্রতি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানা গিয়েছে এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গল থেকে পৃথিবীতে আসা এই উল্কা আদতে বহু পুরনো বিষ্ফোরণের ফল। মঙ্গল গ্রহের আগ্নেয়গিরি থেকেই ওই উল্কাগুলির উৎপত্তি বলে জানাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

(আরও পড়ুন: X, Meta-কে তুলোধোনা কেন্দ্রের ! ডিপফেক কাণ্ডে কড়া বার্তা মন্ত্রী রাজীবের)

এই মঙ্গলগ্রহের উল্কাপিণ্ডের বয়স কত তা নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখনও জারি রয়েছে। বর্তমানে একটি বিশেষ গবেষণা-ভিত্তিক পারমাণবিক চুল্লি এঈ কাজে লাগানো হচ্ছে। এর মাধ্যমেই উল্কা পাথরগুলির বয়স জানা যাবে বলে আশা।

তবে উল্কা পাথরগুলির কোনওটাই খুব পুরনো নয়। ইতিমধ্যেই এই তথ্য জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। কয়েক কোটি বছর পুরনো উল্কা পাথরই মঙ্গল থেকে ছিটকে আসছে। বিজ্ঞানীদের কথায়, মঙ্গলে সাম্প্রতিক আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের এই উল্কাপাত হচ্ছে। বিশেষ করে গোটা সৌরজগতের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনস থেকে অগ্ন্যুৎপাতই এর‌বড় কারণ।

(আরও পড়ুন: ভেষজের গুণেই নাকি সেরে গেল এইডস! ভারতীয় চিকিৎসককে নিয়ে বিরাট হইচই)

আর্গন-আর্গন পদ্ধতি

বিজ্ঞানী ডক্টর বেন কোহেনের নেতৃত্বে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গবেষক যৌথভাবে এই বয়স খোঁজার গবেষণায় রত। উল্কাপিন্ডের সঠিক বয়স খুঁজে বার করতে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এই পদ্ধতির নাম ‘আর্গন-আর্গন’‌।

সংবাদমাধ্যমকে ডক্টর কোহেন বলেন, উল্কাগুলির কিছু রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য বলে দিচ্ছে এগুলি মঙ্গল গ্রহ থেকে আসা। উল্কাপিণ্ডে আর্গনের মাত্রা পরীক্ষা করতে পারমাণবিক চুল্লিতে পাথরের ছোট সাতটি টুকরো রাখা হয়েছে। ইউরেনিয়াম-লেডের মতো আর্গন-আর্গন মহাজাগতিক বস্তুর বয়স নির্ধারণের আরেকটি পদ্ধতি। মঙ্গল গ্রহ তিন থেকে চার বিলিয়ন অর্থাৎ ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি বছর পুরনো। কিন্তু এই উল্কাগুলো অনেক কম বয়সী। মাত্র কয়েকশ মিলিয়ন অর্থাৎ কয়েক কোটি বছর এদের আয়ু।ডাঃ কোহেনের কথায়, মঙ্গল গ্রহে ঘন ঘন উল্কাপাত হত। ফলে এর পিঠে চূর্ণবিচূর্ণ পাথরের একটি স্তর তৈরি হয়েছে। সেকারণেই, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হলেই  নতুন শিলা ধেয়ে আসছে পৃথিবীর বুকে। আপাতত মঙ্গল গ্রহের অভিযান আরও কাঁটাহীন করতে  এই নিয়ে বিশদ পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে।