Ticket black marketing: বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির নামে ৯৪ হাজার টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার যুবক

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে টিকিটের ব্যাপক কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছিল। সে ঘটনার তদন্ত নেমে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকিট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ৯৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: ইডেনে IND vs SA ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি কাণ্ডে নয়া মোড়, ধৃত CAB সদস্য! উদ্ধার বহু টিকিট

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম রনি ঘোষ। ধৃত যুবক মালদহের দরিয়াপুরের বাসিন্দা। ফেসবুকে নিজেকে একজন সিএবি আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়েছিল ওই যুবক। এরপর ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে ওই যুবক ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার টিকিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য মোটা টাকা দাবি করে। এইভাবে প্রায় ৯৪ হাজার টাকা প্রতারণা করে ওই যুবক। সেই ঘটনায় যুবকের বিরুদ্ধে কলকাতার সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। জানা যায়, কলকাতার গল্ফগ্রিনের বাসিন্দা সৌমজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যুবক ওই প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে টিকিটের জন্য কয়েক হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট না পেয়ে ওই অভিযুক্তের কাছে টাকা ফেরত চান তিনি। কিন্তু, যোগাযোগ করতে পারেননি শেষ পর্যন্ত তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন। এরপর তিনি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

এই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।  তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মালদহের বাসিন্দা। এরপর পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জানতে পেরেছে ধৃত যুবক অনলাইন গেমিংয়েও জড়িত রয়েছে। ওই যুবক ৯৪ হাজার টাকার প্রতারণা করার পর সেটি অনলাইন গেমে বিনিয়োগ করেছিল। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৯টি পৃথক মামলায় পুলিশ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০৮টি টিকিট। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে, প্রায় ৬৪ হাজার টিকিট ছাপানো হয়েছিল। তবে টিকিট বুকিং অ্যাপ ১৮ হাজার ৭৫টি টিকিট পেয়েছিল। অনলাইনে বিক্রির সময় কালোবাজারি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে সিএবি ও বিসিসিআই যে ২৫ হাজার ৯৭৫টি টিকিট পেয়েছিল সেগুলি রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে বন্টন করেছিল। ক্লাবগুলি সেই টিকিট বিক্রি করেছিল বলে জানতে পারে পুলিশ।