‘‌আমি কৃষ্ণনগর থেকে দাঁড়িয়ে দ্বিগুণ ব্যবধানে জিতব’‌, আদানিকে খোঁচা দিয়ে টুইট মহুয়ার

মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতি উত্তাল। কারণ তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশে এথিক্স কমিটি সিলমোহর দিয়েছে। এই ঘটনা যখন চর্চার কেন্দ্রবিদুতে তখন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, ‘‌আমার সাংসদ পদ বাতিল হলেও পরেরবার দ্বিগুণ ভোটে জিতে ফিরবই।’‌ এবার আজ, শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আদানিকে খোঁচা দিয়েছেন মহুয়া। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও তথ্য তুলে ধরেছেন তিনি। তাতে তোপ দেগেছেন এথিক্স কমিটির বিরুদ্ধেও।

এখন মহুয়া মৈত্রকে অন্য দলও সমর্থন করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইডির দফতরের বাইরে দাঁড়িয়ে মহুয়া মৈত্রকে সমর্থনই করেছিলেন। তারপরই আজকের টুইট পোস্ট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আজ শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘‌আমি কৃষ্ণনগর থেকে আবার দাঁড়াব। আর দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে জিতব।’‌ আদানির নাম উল্লেখ করেই মহুয়ার খোঁচা, ‘‌দয়া করে বলে বেড়াবেন না আমার টিকিট এবার কাটা যাচ্ছে।’‌ এদিকে কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়া মৈত্রকে তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট দেবে না বলে এলাকায় চাউর হয়ে গিয়েছে। কে বা কারা চাউর করেছে, সেটা জানা যায়নি। তবে এই পোস্ট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র এই অভিযোগ তুলে বিজেপি রে রে করে নেমে পড়েছে। এই নিয়ে এথিক্স কমিটির মুখোমুখিও হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু সেখানে অশ্লীল প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে বেরিয়ে আসেন মহুয়া। তারপর থেকেই নিজের লড়াই জারি রেখেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে শুক্রবারও গলা ফাটালেন তিনি। টাকা নিয়ে আদানি বিরোধী প্রশ্ন করার অভিযোগে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করা হয়েছে। আর তা নিয়েই আদানিকে পাল্টা মহুয়া বলেন, ‘‌আমার নাম এবার বাদ যাবে, এই নিয়ে বলে বলে সময় নষ্ট করবেন না। আমি কৃষ্ণনগর থেকে আবার দাঁড়াব এবং দ্বিগুণ ব্যবধানে জিতব।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌ভোট বাক্সের ভোটটা কোথায় যায়?’‌ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়লেন শতাব্দী

এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এই প্রথম মুখ খুললেন মহুয়া মৈত্র। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহুয়া বলেন, ‘‌বিজেপি অত্যন্ত বোকা। আমাকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার মনে হয়, আমি এক্ষেত্রে হিরো হচ্ছি। কারণ, জনগণ সব বুঝতে পারছে। এখনও আমার সাংসদ পদ বাতিল হয়নি। আগামী ৪ ডিসেম্বর সংসদে শীতকালীন অধিবেশন আছে। সেখানেই বোঝা যাবে কী হয়। তবে আমার পদ আজ খারিজ করলে আগামীদিনে আবার জিতে ফিরবই।’‌ কিন্তু এতকিছুর পর প্রশ্ন উঠছেই, কৃষ্ণনগর থেকে টিকিট পাবেন তো মহুয়া মৈত্র?‌ উত্তর সময় বলবে।