সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে ‘বিদেশের সরকারগুলির সঙ্গে কথা হচ্ছে’, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে জঙ্গি হানার হুমকি নিয়ে মুখ খুলল MEA

সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে বিদেশের সরকারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে দিল্লি। টাটা গোষ্ঠীর অধীন অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা  এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর জঙ্গি হামলার হুমকি নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে ওই উত্তরটি দেন।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, যাদে বিদেশের মাটিতে সন্ত্রাসের ডেরা জায়গা না পায়, তার জন্য বিদেশী সরকারগুলির সঙ্গে কথা বলছে ভারত। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি প্রসঙ্গে অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এমন জঙ্গি হামলার হুমকির আমরা তীব্র নিন্দা করি। আমরা বিদেশি সরকারগুলির সঙ্গে এই উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যা হিংসার জন্ম দেয় তা নিয়ে কথা বলছি। আমরা এই সরকারগুলিকে চাপ দেব যাতে এমন উগ্রবাদী কোনও কার্যকলাপকে জায়গা না দেওয়া হয়।আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পদক্ষেপ নেব।’ এদিকে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে জঙ্গি হামলার হুমকির পর ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি জানিয়েছে, যাতে পঞ্জাব ও দিল্লি বিমানবন্দরে নিরাপত্তা সম্পর্কিত বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর আগে ‘শিখস ফর জাস্টিস’ নামের এক খলিস্তানপন্থী সংগঠনের তরফে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে জঙ্গি হামলার হুমকি আসে। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

এদিকে, এয়ার ইন্ডিয়ায় জঙ্গি হামলার হুমকি প্রসঙ্গে ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি পঞ্জাব ও দিল্লির সমস্ত বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারির কথা বলেছে। এদিকে, সদ্য খলিস্তান ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে দিল্লির। সদ্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, সেদেশে খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে হাত রয়েছে ভারতীয় এজেন্টের। এরপরই সেই দাবি নস্যাৎ করে দিল্লি। পাল্টা এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রক প্রমাণ দেওয়ার দাবি জানালেও, কানাডার তরফে এখনও কোনও প্রমাণ এই বিষয়ে দেওয়া হয়নি। সেই জায়গা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ায় জঙ্গি হামলার হুমকি প্রসঙ্গে দিল্লির অবস্থান বেশ প্রাসঙ্গিক। এই ইস্যুতে বিদেশি সরকারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথাও বলেছে দিল্লি। ফলে সেই জায়গা থেকে ফের কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক পুরনো স্রোতেই বইবে কি না, সেদিকে তাকিয়ে কূটনৈতিক মহল। সদ্য় ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি তাকিয়ে রয়েছেন, দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার দিকে। এদিকে যে ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে শিখস ফর জাস্টিসের তরফে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে ১৯ নভেম্বরের পর থেকে যেন এয়ার ইন্ডিয়ার কোনও বিমান না ওড়ে, কারণ তাতে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। সেখানে বলা হয়, ১৯ নভেম্বরও