বিএড কলেজ বাতিল হল কেন?‌ শিক্ষা দফতর তদন্ত করবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

রাজ্যে একসঙ্গে শতাধিকের বেশি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল হয়েছে। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কেন বাতিল হল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এই বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত করে দেখবে রাজ্যের শিক্ষা দফতর বলে আজ, শনিবার জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যেসব বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে এবং কেন তা বাতিল করা হল, সবটাই তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। সুতরাং এই তদন্ত হলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী?‌ রাজ্যে ২৫৩টি বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। ২৫৩টি বিএড কলেজের বাতিল করার বিষয়টি নিয়ে নোটিশ দিয়েছে রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। আজ, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থেকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‌সবাই জানে স্কুলের শিক্ষকতা করতে গেলে এখন বিএড করাটা আবশ্যিক। ফলে কী হয়েছে এবং কেন করেছে? এটা আমরা জানি না। আমার দফতর থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’‌ সুতরাং বিষয়টি সহজে ছেড়ে দেবে না রাজ্য শিক্ষা দফতর তা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে।

বিএড কলেজ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই নিয়ে বিরোধীরা পর্যন্ত মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তাতেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে অনেক পড়ুয়ারা। এই আবহে আজ, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘‌এই ধরনের পরিযায়ী উপাচার্যরা, অনুপ্রবেশকারী উপাচার্যরা রাজ্যের সিস্টেম খারাপ করতে পারে। সেটা যাতে না করতে পারে তার খেয়াল রাখতে হবে।’‌ রাজ্যে মোট ৬০০টি বিএড কলেজ আছে। তার মধ্যে এখন ২৪টি সরকারি বিএড কলেজ। সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশিকার পর ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। এনসিটিইর শর্ত না মানার জেরেই তাদের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌এজেন্সির সঙ্গে লড়তে গেলে নিজেকেও ঠিক রাখতে হবে’‌, কড়া দাওয়াই দিলেন অর্জুন

কুলতলির জামতলায় বিজেপির পালটা সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সভার তিনদিন পর সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল। কুলতলিতে এসে বিধায়ক গণেশ মণ্ডলকে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তার প্রেক্ষিতে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‌হাওয়ায় কথা ভাসিয়ে দিয়ে কোনও লাভ নেই। যা বলছেন তার প্রমাণ দিতে হবে। আমিও তো বালুরঘাটে গিয়ে বলতে পারি ওনার অনেক সম্পত্তি আছে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া এমন কথা আমি বলব না। বিজেপির কাজই হচ্ছে মিথ্যে কথা বলে হিংসা ছড়ানো। উত্তরপ্রদেশ ও ত্রিপুরায় বিজেপির গুন্ডা বাহিনী তৃণমূলের উপর হামলা চালায়। আমরা চাইলে কুলতলিতে বিজেপিকে ঢুকতে দিতাম না। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় বিরোধীদের সন্মান দেয়। বাংলায় জিততে না পারার কারণেই আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজ বন্ধ রেখেছে। নওশাদ আর কোনওদিন বিধায়ক হিসেবে জিতবে না। পিপিলিকার পাখা ওড়ে মরিবার তরে বলেই নওশাদ ডায়মন্ডহারবারে দাঁড়াতে চাইছে। ওর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’‌