মহুয়া মৈত্রের ‘মৌখিক বস্ত্রহরণ’ অভিযোগ নিয়ে পালটা কটাক্ষ করলেন নিশিকান্ত

ক্যাশ ফর কোয়ারি মামলায় লোকসভার এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদ কুমার সোনকর প্রশ্নোত্তর পর্বে মৌখিক বস্ত্রহরণ করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। তৃণমূল সাংসদের সেই অভিযোগ নিয়ে এবার পালটা  কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, মহুয়ার বন্ধুরাই তাঁর ‘চিরহরণ’ করেছিলেন। এটা আর কাউকে জিজ্ঞেস না করে সাংসদ দানিশ আলি এবং গিরিধারী যাদবকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত।

আরও পড়ুন: হিরানন্দানিকে পাসওয়ার্ড ফাঁস জাতীয় সুরক্ষায় আপোস,মহুয়া-মামলায় দাবি এথিক্স কমিটির

শুক্রবার একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিশিকান্ত বলেন, ‘বিরোধী দলের সাংসদরা একটি টেলিভিশন বিতর্কে উপস্থিত হয়ে মহুয়ার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। মহুয়া মৈত্রর বন্ধুরাই তাঁর চিরহরণ করছেন। এটা দানিশ আলি এবং গিরিধারী যাদবকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।’ প্রসঙ্গত, মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দনির কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন। কেন প্যানেলের সামনে তাঁকে তলব করা হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া। নিশিকান্ত এদিন তার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘১৬৪ ধারায় হিরানন্দনির বয়ান একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নেওয়া হয়েছিল। ভারতের সংবিধান বলছে যদি কোনও ব্যক্তি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তাহলে আর ডাকার কোনও প্রয়োজন নেই। আর সেক্ষেত্রে ডাকা মানেই আইনের বিরুদ্ধে যাওয়া।’ এর মানে মহুয়া আইনের বিরুদ্ধে বলে তিনি কটাক্ষ করেছেন। 

মহুয়া মিত্রের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন তাঁর কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। মহুয়ার বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ ছিল, তিনি শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে টাকা এবং উপহার নিয়ে লোকসভায় আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছিলেন। নিশিকান্তের দাবি, সাংসদরা নিজেদের লগ ইন শংসাপত্র কখনই বাইরের লোককে সরবরাহ করতে পারে না। মহুয়া মৈত্র এথিক্স কমিটির কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে অভিযোগ। 

প্রসঙ্গত, মহুয়ার অভিযোগ ছিল দু’ঘণ্টা ধরে লাগাতার এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান জঘন্য প্রশ্ন করেছেন। যা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত পাঁচ জন বিরোধী দলের সদস্য তা সহ্য করতে না পেরে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। অন্যদিকে, জয় অনন্ত দেহরায় মহুয়া মৈত্রকে নাম না করে ‘সাহসী চোর’ বলে কটাক্ষ করেছেন।