Eyeball Transplant: চিকিৎসাবিজ্ঞানে বড় সাফল্য!, নয়া চোখের মণি পেল রোগী! দৃষ্টিশক্তি কি ফিরল

চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরেক মাইলফলক পেরোলেন চিকিৎসকরা। চোখের মণি প্রতিস্থাপন করে নজরি গড়লেন এবার। সাধারণত লিভার বা কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা শোনা যায়। কিন্তু চোখের মণি প্রতিস্থাপনের ঘটনা শোনা যায় না। সেই অসাধ্য সাধন করে দেখালেন আমেরিকার চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ। সফলভাবে চোখের মণি প্রতিস্থাপন করা হল। বর্তমানে রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

(আরও পড়ুন: শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই বাড়বে না রোগ প্রতিরোধ শক্তি, সঙ্গে এ কাজটিও করা চাই)

নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালের ঘটনা। সেখানেই চোখের মণি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অ্যারন জেমস নামে নিউইয়র্কের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি মে মাসে একটি দুর্ঘটনায় পড়েন‌। প্রচণ্ডভাবে জখম হয় তাঁর চোখ। ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। এর পরই নিউ ইয়র্কের একদল চক্ষু বিশেষজ্ঞ মণি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তিনি শেষ পর্যন্ত দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান কি না সেটাই দেখার। দৃষ্টিশক্তি ফিরলে তা চিকিৎসাশাস্ত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে। 

বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে সুস্থ আছেন অ্যারন জেমস। প্রতিস্থাপন করা মণিটি দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। যা সুলক্ষণ বলেই জানান চিকিৎসকরা। খুব শিগগির স্বাভাবিক জীবনে ফিরে পাবেন জেমস। চিকিৎসকদের এমনটাই আশা। 

(আরও পড়ুন: বাসে ট্রেনে ঝুলে ঝুলে আর নয়! উড়ে উড়ে অফিস যাওয়ার ব্যবস্থা করল ইন্ডিগো)

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জেমস। ৪৫ বছর বয়সী জেমস বলেন, মণি প্রতিস্থাপন করা হলেও এটি নাড়াচাড়া করা বারণ। চোখের পাতা বন্ধ করতে অসুবিধা হচ্ছে।‌ তবে ইতিমধ্যেই একটি অনুভূতি কাজ করেছেন । চিকিৎসকদের সে কথা জানিয়েছেন জেমস। চিকিৎসা বিজ্ঞাত বলে, কর্ণিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্ট দৃষ্টিশক্তিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় । আপাতত এটাই চিকিৎসা পদ্ধতি। তবে গোটা চোখ প্রতিস্থাপন, চোখের মণিকে ঘিরে রাখা এবং মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ অপটিক নার্ভকে অন্ধত্বের থেকে রক্ষা করাটা ট্রান্সপ্ল্যান্টের কাজ।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ এডুয়ার্ডো রডরিকসের দাবি, জেমসের দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধার হতে চলেছে । চোখের মণি প্রতিস্থাপনের সাফল্য নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের প্রধান জেফরি গোল্ডবার্গও। তাঁর কথায়, এই প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া নয়া দিগন্ত খুলে দেবে।আগামী দিনে অনেক মানুষ অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এমনটাই  মনে করছেন তিনি।