Visva-Bharati: বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, বাড়িতে জেরাতেও সময় বাঁধল হাইকোর্ট

বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শান্তিনিকেতন থানায় তার বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সাময়িক স্বস্তি পেলেন তিনি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশকে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করা যাবে না। আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে রক্ষাকবচ পেলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। 

বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন বার বারই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এমনকী সরাসরি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তোপ দাগতেন তিনি। এনিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। তবে সেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আর শান্তিনিকেতনের উপাচার্য নন। 

তবে প্রাক্তন উপাচার্যকে জেরা করতে পারবে পুলিশ। কিন্তু সেটা শান্তিনিকেতনে তাঁর বাড়িতে জেরা করা যাবে। ২০ ও ২২ নভেম্বর এই জেরা করা যাবে। তবে হাইকোর্ট বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সমন পাঠানোর ব্যাপারেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে। 

কতক্ষণ জেরা করা যাবে তারও সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, পাঁচটি মামলায় ১ ঘণ্টা করে জেরা করা যাবে । তার বেশি জেরা করা যাবে না।

গত বুধবার বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়। পরের দিনই তার কাছে সমন পাঠানো হয়। এরপর শুক্রবার সকাল ১০টায়, ১১টায়, ১২টায়, দুপুর ৩টায়, বিকাল সাড়ে চারটের সময় তাকে জেরার ব্যাপারে বলা হয়। এরপর বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, আমার ৬৬ বছর বয়স। দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে আমি পুলিশি জেরার মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত নই। 

তিনি তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। তবে পুলিশ জানিয়ে দেয়, ১৪ নভেম্বর তারা জেরা করতে চায়।  আদালতে যান বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। 

একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন ভিসির আশঙ্কা তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। তাঁকে হেনস্থা করা হতে পারে। তবে হাইকোর্ট বন্ধ থাকলেও আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আদালতে জানান, তিনি একাধিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভিসির চেয়ারে বসে। কিন্তু সেটা পছন্দ হয়নি রাজ্য সরকারের। তার জেরেই তার উপর এই হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে এবার বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মামলা কোথায় যায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা।