Abhishek Banerjee: বিজয়া সম্মিলনীতেই আদি-নব্য এক মঞ্চে, অভিষেকের স্ট্র্যাটেজিতে মিলেছে ‘সাফল্য’

লোকসভা ভোটের আগে দলের অবস্থা কেমন? নতুন, পুরনো দ্বন্দ্ব কতটা গভীরে? জনসংযোগে হালই বা কেমন? এই সব বুঝতে নিতে তৃণমূলকে সাহায্য করল বিজয়া সম্মিলনী। এমনিতে রাজনীতিতে বিজয়া সম্মিলনীকে বরাবরই জনসংযোগের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু একে কেন্দ্র করে দলের অন্দরের কয়েকটি বিষয়ের জল মাপালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, তাঁর নির্দেশেই মূলত কয়েকটি বিষয়ের জোর দেওয়া হয়েছে এবারে বিজয়া সম্মিলনীগুলিতে। তারই রিপোর্টের এসে পৌছেছে দলের কাছে।

রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীর সভায় দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারাটা নজরে এসেছে। প্রতিটা সভায় দলের একজন করে রাজ্য কমিটির নেতা উপস্থিত থেকেছেন।

নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল গঠনের সময় থেকে যাঁরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁদের যেন এই বিজয়া সম্মিলনীতে ডাকা হয়। তাঁদের থেকে পরামর্শ নেওয়া হয় দলের বিভিন্ন কাজকর্মের বিষয়ে। সেই মতো পুরনোদেরও ডাকা হয়েছিল অনুষ্ঠানগুলিতে। রিপোর্ট দেখে মনে কার হচ্ছে, এই অনুষ্ঠান থেকে নতুন-পুরনো দ্বন্দ্বের অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। পুরনোদের সংবর্ধনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো তাঁদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বলা হয়েছিল, ব্যাকড্রপের ব্যানারে এক পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যপাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করতে। দলের রিপোর্টে দাবি করে হয়েছে, দলের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা উপস্থিত না থাকলেও তাঁদের ছবিই নেতা কর্মীদের উৎসাহিত করছে।

(পড়তে পারেন। ‘শুভেন্দুর বিজেপি যোগের পিছনে হাত সৌগত রায়ের!’ বিস্ফোরক অভিযোগ মদনের) 

তৃণমূল নেতৃত্ব প্রথমে ৫০০ বিজয়া সম্মিলনীর সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে দেখা গিয়েছে সেই সভার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।

রিপোর্ট বলছে, এই বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে ৩০ লক্ষ কর্মী সক্রিয় হয়েছেন। পাশাপাশি এই ধরনের সভার মাধ্যমে ৮০ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সম্মিলনীতে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল নজর কাড়ার মতন। বিজয়া সম্মিলীনতে মহিলা নেতৃদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। ফলে যে মহিলা ভোটের মাধ্যমে তৃণমূলের তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা তার অনেকটা নিশ্চিত রয়েছে বলে মনে করছে দল। যা লোকসভা নির্বাচনের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।