গাজায় অন্তঃসত্ত্বা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচারে চালানো বোমা হামলায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে গর্ভবতী নারী ও নবজাতকরা। এ নিয়ে রবিবার (১২ নভেম্বর) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এমনকি প্রসূতি মা ও নবজাতকদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি ইসরায়েলি অবরোধে সরবরাহ বন্ধ থাকা খাবার, পানি, ওষুধ, জ্বালানির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

আত্মরক্ষার নাম করে টানা প্রায় দেড় মাস ধরে গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। চলমান এ হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সাড়ে ৭ হাজার।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, খাদ্য, পানি, ওষুধ, প্রসূতি চিকিৎসা ও জ্বালানির ঘাটতির কারণে গাজায় হাজার হাজার গর্ভবতী নারী ও নবজাতক মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে রবিববার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, ‘গাজায় যুদ্ধ চলছে এবং এর মধ্যেই সেখানে প্রায় ৫০ হাজার নারীই গর্ভবতী। তাদের মধ্যে প্রতিদিন ১৮০ জনেরও বেশি নারী সন্তান প্রসব করছেন এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও কয়েক হাজার নারী সন্তানের জন্ম দেবেন।

ওসিএইচএ আরও বলেছে, ‘এসব গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য এবং তাদের নবজাতকের স্বাস্থ্য মূলত খাদ্য, পানি, ওষুধ, জ্বালানি এবং প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রবেশের ওপর নির্ভর করছে।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের এ হামলা থেকে মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের ঘরবাড়িসহ গাজার কোনও অবকাঠামো বাদ যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল- আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে।

গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্রেব্রিয়েসাস বলেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।