Anubrata Mondal: কেষ্টদাই তো তিহাড়ে, ৫৬০ ভরির সোনার গয়নায় কে আর সাজাবে কালীকে? মন ভালো নেই তৃণমূলের

কালীপুজো এসে গিয়েছে। গোটা বাংলা ভাসছে আলোর বন্যায়। তবে বীরভূমের কালীপুজো মানে প্রতিবারই সকলের নজর থাকত অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। আর বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ের পুজোতে অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। একেবারে রাজকীয় জাঁকজমক থাকত পুজোতে। তার সঙ্গেই গয়নাগাটি একেবারে উপচে পড়ত। ২০২১ সালের কালীপুজোয় দেবীকে ৫৬০ ভরি গয়না দিয়ে সাজিয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু সেসব তো অতীত। খোদ কেষ্ট মণ্ডল এখন তিহাড় জেলে বন্দি। বীরভূমের কালীপুজো থেকে অনেক দূরে দিন কাটছে তার।

আর নেতা যখন জেলবন্দি তখন স্বাভাবিকভাবেই পুজোর জাঁকজমক তো কমবেই। যাকে ঘিরে আবর্তিত হত গোটা পুজো, যার পুজো দেখতে ভিআইপিরা আসতেন সেই ব্যক্তিই তো এখন গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি। সেক্ষেত্রে সূত্রের খবর, আর সোনার অলঙ্কারে নয়, এবার মাকে সাজানো হয়েছে ইমিটেশনের গয়নায়।

একটা সময় বীরভূমে শেষ কথা বলতেন অনুব্রত মণ্ডলই। কার্যত তাঁর নির্দেশ ছাড়া একটা পাতাও নড়ত না। আর তার কালীপুজো মানে একেবারে এলাহি ব্যবস্থা। অনেকের মতে যে গয়না দিয়ে দেবীকে সাজানো হত তার দামই প্রায় আড়াই কোটি টাকা। আর এই গয়না দেখতেই ভিড় জমে যেত। আর সেই গয়না সাজিয়ে বসতেন অনুব্রত। এরপর একে একে তা মায়ের অঙ্গে তোলা হত। পাহারাও থাকত চোখে পড়ার মত। কিন্তু অনুব্রতর তিহাড় যাত্রার পর সবই যেন কেমন ওলট পালট হয়ে গিয়েছে। পুজোর সেই জৌলুসের ছিটেফোঁটাও নেই। নেতা কর্মীদেরও মন ভালো নেই।

এদিকে গত বছরে কিছু সোনার গয়না পরানো হয়েছিল দেবীকে। কিন্তু এবার সেই গয়নাও আর পরানো হচ্ছে না। এবার মূলত ইমিটেশনের গয়না পরানো হবে। তবে কয়েকটি গয়না সোনার থাকতে পারে।

তবে নেতা কর্মীরা সময় পেলে আজও আসেন কেষ্ট দার পুজোতে। একটু বসে থেকে চলে যান। তবে পুজো যাতে নিষ্ঠাভরে হয় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু মূল সুরটাই তো কেটে গিয়েছে। সোনার গয়না পরানো, এলাহি ব্যবস্থা করা এসব আর হচ্ছে না। নেতা কর্মীরা অপেক্ষা করে আছে কবে ফিরবেন অনুব্রত তারপর আবার শুরু হবে জাঁকজমক করে কালীপুজো। কিন্তু অপেক্ষাটা কতদিনের সেই প্রশ্নটা জানা নেই কারোর কাছে।