ISIS Terrorists nabbed in UP: ISIS-এর সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের ধরা হল উত্তরপ্রদেশে, ৪ জনই ছিল AMU-র পড়ুয়া

উত্তরপ্রদেশের আলিগড় থেকে শনিবার জঙ্গি সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করল সন্ত্রাস দমন শাখা। অভিযোগ, ধৃতরা আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ধৃত চারজনের নাম – রাকিব ইমাম আনসারি (বয়স ২৯ বছর), নাভেদ সিদ্দিকি (বয়স ২৩ বছর), মহম্মদ নোমান গফফর (বয়স ২৭ বছর) এবং মহম্মদ নজিম (বয়স ৩৩ বছর)। জানা গিয়েছে, এই চারজনই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। (আরও পড়ুন: প্রথায় পড়ল না চিড়, সেনার সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনে এবার কোথায় গেলেন মোদী?)

রিপোর্ট অনুযায়ী, রাকিব ইমাম আনসারি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিটেক এবং এমটেক ডিগ্রি লাভ করেছিল, নাভেদ সিদ্দিকি বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেছিল, মহম্মদ নোমান গফফর এবং মহম্মদ নজিম বিএ হনার্স ডিগ্রি লাভ করেছিল আলিগড় থেকে। জানা গিয়েছে, এই চার ধৃত আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল, যার নাম – স্টুডেন্টস অফ আলিগড় মুলিম ইউনিভার্সিটি। এমনকী আইএসআইএস-এর সঙ্গেও জড়িত ছিল এই চারজন। এই ধৃতদের কাজে লাগিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাকি নাশকতার ছক কষছিল ইসলামিক স্টেট।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্পেশাল ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, এই ধৃত চারজনই ইসলামিক স্টেট দ্বারা অনুপ্রাণিত। এমনকী আইএস-এর হ্যান্ডলারদের থেকে তারা বিভিন্ন নির্দেশও নিচ্ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর ছক ছিল তাদের। এর জন্যে তারা বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহের কাজও শুরু করে দিয়েছিল। এই আবহে তল্লাশি চালিয়ে আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন নথি উদ্ধার করেছে চারজনের কাছ থেকে। এমনকী আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত নথিও মিলেছে তাদের কাছ থেকে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৬ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশে আরসালান এবং তারিক নামক দু’জন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছিল। পরে ৮ নভেম্বর ওয়াজিহুদ্দিন নামক আরও এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল এটিএস। এই তিনজনকে জেরা করেই নাকি রাকিব ইমাম আনসারি, নাভেদ সিদ্দিকি, মহম্মদ নোমান গফফর এবং মহম্মদ নজিমের নাম জানতে পারে এটিএস। এরপরই তাদের ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন গোয়েন্দারা। ৬ নভেম্বর থেকে ধৃত এই সাতজনই একই মডিউলের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে তাদের মডিউল সংক্রান্ত আরও তথ্য বের করতে সবাইকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে তাদের পরিকল্পনার বিষয়েও আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।