Kali Puja 2023: কালীপুজোয় চাঁদার জুলুমবাজির শিকার খোদ পুলিশ, বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ

এবার কালীপুজোর চাঁদার জুলুমবাজির শিকার হলেন খোদ পুলিশ। চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে এক পুলিশ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়ার কালীবাড়ি এলাকায়। এই ঘটনায় গুরুতরে জখম হয়েছেন ওই পুলিশ কর্মী। আক্রান্ত পুলিশ কর্মীর নাম নন্দ মণ্ডল। গুরুতর অবস্থায় তাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রায়গঞ্জ মহকুমা শাসকের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ওই পুলিশ কর্মী।

আরও পড়ুন: তোলাবাজিতে বাধা দেওয়ায় হুমকি, দলের কর্মীদের নামে পুলিশে নালিশ TMC কাউন্সিলরের

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীবাড়ি এলাকার বিপ্লবী ক্লাবের সদস্যরা নন্দ বাবুর কাছে কালীপুজোর চাঁদা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু এত পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তার পরিবর্তে ২০০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। একইসঙ্গে, মন্দির তৈরির জন্য তিনি আরও কিছু সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি ক্লাবের সদস্যরা। এ নিয়ে পুলিশ কর্মীর উপর ক্ষোভ ছিল ক্লাবের সদস্যদের। পরে শনিবার রাতে ক্লাবের কয়েকজন সদস্য মদ্যপ অবস্থায় ওই পুলিশকর্মীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। 

এই ঘটনার খবর পেয়ে কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ সেখানে ছুটে আসে। এমনকী সেখানে যাওয়া পুলিশের উপরেও অভিযুক্তরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ক্লাবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ওই পুলিশকর্মী। তার ভিত্তিতে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাকে মারধর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় ক্লাবের সদস্যরা চাঁদা নিয়ে স্থানীয়দের উপর প্রায়ই জুলুম করে থাকে বলে অভিযোগ।

পুলিশ কর্মীর অভিযোগ, তিনি গত বছর ওই এলাকায় বাড়ি করেন। তার স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। গত বছর ক্লাবের তরফে তার কাছে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। ফলে তার ওপর আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল ক্লাবের সদস্যের। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি। সেইসঙ্গে যাতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এই ঘটনার পরে পুলিশ এসে বেশ কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যায়। যার মধ্যে অনেকে এই ঘটনা সঙ্গে জড়িত নয়। তাদের দাবি, যারা অভিযুক্ত শুধুমাত্র তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক আর যারা নির্দোষ তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হোক।