Rat problem in Kolkata: ইঁদুরের দৌরাত্ম্য! নর্দমায় উচ্ছিষ্ট ফেলা বন্ধ করতে দোকানদারদের নোটিস দেবে KMC

রাস্তায় যত্রতত্র উচ্ছিষ্ট ফেলার জেরে বাড়ছে ইঁদুরের উৎপাত। সেই উৎপাত কার্যত উৎসবের আকার নিয়েছে খোদ মেয়রের বাড়িতে। ঘরের সোফার গদি, স্পঞ্জ কেটে কুটিকুটি করছে ইদুঁর। ইঁদুরদের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য মিষ্টি এবং খাবারের দোকানের দিকেই আঙুল তুলেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার পক্ষ থেকে অবিলম্বে দোকানগুলিকে নোটিস পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মেয়রের কথায়, রাস্তায় খাবারের উচ্ছিষ্ট ফেলা বরদাস্ত করা হবে না কোনও ভাবেই। কারণ পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যে কলকাতার বেশ কিছু জায়গা ধসে যাবে।

ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমারা বাড়ির সামনে মিষ্টির দোকান থেকে পুরনো রস নালায় ফেলে দেওয়া হয়। তার লোভে এসে জুটছে ইদুঁর। পিছনে আমার বাড়ি। ইদুঁরগুলো নালা ঢুকে রস খেয়ে আমার বাড়ির ড্রেন দিয়ে উঠছে।’

দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, নর্দমা থেকে এমন ভাবে মাটি তুলছে ইদুঁরগুলি তাতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নিকাশিনালা। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমছে। নাগরিকদের তরফেও এই ইঁদুরের দৌরাত্ম নিয়ে মেয়রকে অভিযোগ জানানো হচ্ছে। 

তবে ইঁদুরের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য মেয়র বাসিন্দাদের একাংশের দিকেও আঙুল তুলেছেন। তিনি জানান, ময়লা রাখার জন্য কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বালতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক বাসিন্দারা সেই বালতিতে উচ্ছিষ্ট না ফেলে তা রাস্তায় ফেলেন। ফলে ইদুঁররাও সেই খাবার খাওয়ার জন্য জমা হচ্ছে।

(পড়তে পারেন। আলোর উৎসবে দেদারে শব্দবাজি ফাটল বাংলায়, দাদাগিরি কলকাতায়, নজরদারি কোথায়?)

আগে ফুটপাথ তৈরি হতো ইট কিংবা পাথরের টুকরো বিছিয়ে। পরে তার উপর বালি দিয়ে পেভার ব্লক বসানো হতো। কিন্তু দেখা যাচ্ছিল ফুটপাতের তলা দিয়ে ইঁদুর সুড়ঙ্গ তৈরি করে চলাচলের রাস্তা বানিয়ে ফেলছিল। ফলে বসে যাচ্ছিল ফুটপাতও।

তবে এখন ফুটপাথ তৈরির সময় মেশানো হয় কাঁচের গুড়ো। সেই সঙ্গে কংক্রিট করে তাঁর উপর ইট বসিয়ে বাসনো হচ্ছে পেভার ব্লক। এ ক্ষেত্রে খাবার দোকানের সামনে নালাগুলো, সিমেন্টের সঙ্গে কাঁচ মিশিয়ে ঢালাই করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মেয়র।

(পড়তে পারেন। হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা নয়, ইঁদুর রুখতে জোড়া কৌশলই আপাতত ভরসা কলকাতা পুরসভার) 

তবে ধেড়ে ইঁদুরের দাপাদাপি রুখতে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে পুরসভা।