কালী প্রতিমার বিসর্জনের জেরে নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ থাকছে চক্ররেল, কতদিন চলবে?

কালীপুজো শেষ এখন প্রতিমা বিসর্জনের পালা। ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। স্বাভাবিকভাবেই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে শহরের তীরবর্তী গঙ্গার ঘাটগুলিতে প্রচুর মানুষের ভিড় হচ্ছে। তাই দুর্ঘটনায় এড়াতে প্রতিবারের মতো এবারও কালীপুজোর বিসর্জনের সময় চক্র রেলের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এরফলে আংশিক বিঘ্নিত হচ্ছে চক্র রেল পরিষেবা। নির্দিষ্ট সময়ে রেল পরিষেবা বন্ধ রাখার পাশাপাশি একাধিক ট্রেনের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে আগেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাতে কতগুলি ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বা কতগুলি ট্রেন ঘুরতি পথে চালানো হচ্ছে? সে বিষয়ে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ১০ দিন বন্ধ থাকবে চক্ররেল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?‌ জেনে নিন তারিখ

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে চক্ররেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই চার দিন কালীপুজোর বিসর্জনের কারণে বিকেল চারটে থেকে পরের দিন সকাল ৭ টা পর্যন্ত চক্র রেল পরিষেবা বন্ধ থাকছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০৩১২ এবং ৩০৩১৪ নম্বর লোকাল ট্রেন দুটি কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত চলবে এবং কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়বে ৩০৩৩১ এবং ৩০৩১৩ নম্বর লোকাল। এছাড়া দু জোড়া লোকাল ট্রেন শিয়ালদহ হয়ে চালানোর পাশাপাশি শিয়ালদা পর্যন্ত চলবে। এগুলি হল ৩০১২২, ৩০১২৩, ৩০১৫৪ এবং ৩০১১১। 

তাছাড়া, ৩০৭১১ এবং ৩০৫৫২ নম্বর লোকাল ট্রেন বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে। ৩০১১২ এবং ৩০৩১৭ নম্বর লোকাল ট্রেন কাঁকুড়গাছি রোড হয়ে বালিগঞ্জ পর্যন্ত চলবে এবং ওই ট্রেন দুটি বালিগঞ্জ থেকে ছাড়বে। ৩০৪১৬ এবং ৩০৪৫১ ট্রেন দুটি মাঝেরহাট স্টেশন পর্যন্ত চলবে এবং মাঝেরহাট স্টেশন থেকে ছাড়বে। অন্যদিকে, ৩০১৩৫ ও ৩০৩৫৩ নম্বর লোকাল ট্রেন বালিগঞ্জ থেকে চালানো হবে। তাছাড়া ৩০৩৩২ নম্বর লোকাল ট্রেন কাঁকুড়গাছি রোড হয়ে বালিগঞ্জ পর্যন্ত চলবে।

প্রসঙ্গত, শুধু কালীপুজোর বিসর্জনের সময়ই নয়, অন্যান্য পুজোর বিসর্জন, ছট পুজো এবং মহালয়ার সময় চক্র রেলের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই সময়গুলিতে যেহেতু গঙ্গার ঘাটে প্রচুর ভিড় থাকে সেই কারণে ওই দিনগুলিতে চক্ররেল ঘুরতি পথে চলে অথবা পথ সংক্ষিপ্ত করা হয়। মূলত দুর্ঘটনায় এড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ করে থাকে। দুর্গাপুজোর বিসর্জন এবং মহালয়াতেও চক্ররেল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা।