নয়া সংসদ ভবনে লাইভ অধিবেশন, বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোয় অভিনব থিম

‘‌কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি’‌। কবির এই কথা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়েছে। কারণ ধর্ম–উৎসব–পুজো–পার্বণ সবেতেই রাজনীতি প্রবেশ করছে। সেটা দুর্গাপুজো, কালীপুজো থেকে শুরু করে জগদ্ধাত্রী এবং কার্তিক পুজোতে থিম হয়ে উঠছে রাজনীতির প্রেক্ষাপট। বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজো হুগলি জেলায় খুবই জনপ্রিয়। কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন বাঁশবেড়িয়াবাসী। থিমের ছোঁয়ায় বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজো আলাদা মাত্রা পায়। তবে এবার একটি কার্তিক পুজো কমিটি বাঁশবেড়িয়ায় তাক লাগিয়ে দিতে চলেছে। ওই পুজো কমিটির নাম হল ‘‌অনির্বাণ’‌।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটছে?‌ এবার অনির্বাণ কার্তিক পুজো কমিটির পুজো ৪৮ বর্ষে পদার্পণ করছে। বাঁশবেড়িয়ায় প্রত্যেক বছর দারুণ থিম বারবার নিয়ে এসেছে এই অনির্বাণ পুজো কমিটি। এবার তাদের থিম— নয়া সংসদ ভবন। যা সম্প্রতি দেশে তৈরি হয়েছে। এই নয়া সংসদ ভবন নিয়ে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে কম ঢেউ আছড়ে পড়েনি। বিপুল টাকা ব্যয় করে নয়া সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে নয়াদিল্লিতে। এবার সেই নয়া সংসদ ভবনের আদলেই তৈরি হচ্ছে অনির্বাণ পুজো কমিটির কার্তিক পুজোর মণ্ডপ। এমনকী মণ্ডপের ভিতরে সংসদের অধিবেশনে লাইভ দেখা যাবে। তবে সেখানে সত্যিকারের নেতা–নেত্রীরা থাকবেন না। বরং তাঁদের মুখের আদল থাকবে। টানটান সেই অধিবেশন দেখতে এখন থেকেই মুখিয়ে আছেন বাঁশবেড়িয়ার মানুষজন।

পুজো কমিটির দাবি ঠিক কী?‌ এই বিষয়টি এখন জানাজানি হয়ে গিয়েছে। তাই ব্যাপক ভিড় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বাঁশবেড়িয়ার বাইরে এটা জানাজানি হতে শুরু করলে ভিন জেলা থেকেও লোকজন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুতরাং এখানে ট্রেনে, বাসে, টোটো–তে ভিড় বাড়বে। আর এই পুজো কমিটির সিনিয়র উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুশান্ত সরকার বলেন, ‘‌বহু বছর ধরেই আমরা নতুনত্ব থিম করে আসছি। গত ১০ বছর ধরে এই পরম্পরা ধরে রেখেছি। এবারে আমরা নতুন সংসদ ভবনের অনুকরণে মণ্ডপ তৈরি করছি। যেখানে থাকবেন জামাই কার্তিক। সংসদের ভিতরে যেমন অধিবেশন চলে তেমনই কাল্পনিক চিত্র দর্শনার্থীদের সামনে নাট্যরূপ করে ফুটিয়ে তোলা হবে। তবে অভিনয় লাইভ চলবে।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌দিলীপ ঘোষ একজন ‌অ্যাক্সিডেন্টাল এমপি’‌, ঘর ওয়াপসি খারিজ করে খোঁচা বাবুলের

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই মণ্ডপ সংসদের অধিবেশনে যে নাট্যরূপ তুলে ধরা হবে তার সবটাই কাল্পনিক। বাস্তবের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক নেই। এখানে প্রত্যেকদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চলবে এই লাইভ সংসদের শো। সুতরাং মানুষ এখানে রাতেও ভিড় করবেন। এই গোটা বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে অনির্বাণ পুজো কমিটির বাজেট প্রায় ৪ লাখ টাকা স্পর্শ করেছে। আগামী ১৬ নভেম্বর এই পুজো মণ্ডপ তথা কার্তিক পুজোর উদ্বোধন হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।