Uttarakhand tunnel collapsed: উত্তরাখণ্ডে টানেল বিপর্যয়ে আটকে বাঙালি শ্রমিকরাও, খোঁজ নিলেন শুভেন্দু

উত্তরাখণ্ডে নির্মীয়মাণ টানেল বিপর্যয়ের জেরে আটকে রয়েছেন বহু শ্রমিক। তার মধ্যে বাংলার তিন শ্রমিকও রয়েছেন। দ্রুত গতিতে তাদের উদ্ধার কাজ চলছে।  এই অবস্থায় তাদের উদ্ধার কাজ কেমন চলছে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার এ বিষয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডে উদ্ধার কাজ কেমন চলছে তা জানার জন্য রাজ্যের প্রশাসনের কাছে তিনি খোঁজ খবর নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: উত্তরকাশিতে নির্মানাধীন টানেলে নামল ধস, আটকে অন্তত ৩৬ জন শ্রমিক

শুভেন্দু জানিয়েছেন, আটকে থাকা শ্রমিকদের যাতে জল খাবার সরবরাহ করা হয় এবং অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হয় সে বিষয়ে তিনি উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাংলার যে ৩ পরিযায়ী শ্রমিক আটকে রয়েছেন তাদের নাম হল–জয়দেব প্রামাণিক, মনির তালুকদার এবং সৌভিক পাখিরা। বাংলার শ্রমিকদের পাশাপাশি অন্যান্য শ্রমিকদের যাতে নিরাপদে উদ্ধার করা যায় সে বিষয়ে প্রার্থনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘বাংলার শ্রমিকদের পাশাপাশি অন্যান্য শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ কেমন চলছে তা জানার জন্য আমি উত্তরাখণ্ড সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জানতে পেরেছি সেনা এবং বিপর্যয় মোকাবেলা দল উদ্ধার কাজের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই শ্রমিকরা উদ্ধার হবেন। তাদের জল খাবার এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। উত্তরাখণ্ড সরকার সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রার্থনা করি যাতে সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করা যায়।’

প্রসঙ্গত, উত্তরকাশী-যমুনোত্রীর রাস্তায় সিলকিয়া টানেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই টানেল ছিল চারধাম অল ওয়েদার প্রজেক্টের অংশ। যমুনোত্রীতে সিলকিয়া ও পোলগাঁও গ্রামের হাইওয়ে প্রজেক্টের অংশ এইটি। রবিবার ভোর চারটে নাগাদ উত্তরাখণ্ডের ওই টানেলটি ভেঙে পড়ে। মুহূর্তে সেখানে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রমাগত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে শ্রমিকদের কাছে। কোনও হতাহতের খবর নেই। টানেলে থাকা জলের পাইপ দিয়ে সমস্ত সরবরাহের কাজ চলছে। তাঁরা আশা করছেন, খুব শিগগিরই ওই শ্রমিকদের বাইরে বের করা হবে। উত্তরকাশীর প্রশাসন জানিয়েছে, প্রশাসনের তরফে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে। ওয়াকিটকির মাধ্যমে তাঁরা কথা বলছেন। শ্রমিকরা নিশ্চিত করেছেন যে, তাঁর ৪০ জন সকলেই সেখানে সুরক্ষিত রয়েছেন। তাঁদের খাবারের প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে।