Jaynagar Murder: মাদার ও যুব তৃণমূলের কোন্দলেই খুন সইফুদ্দিন, দাবি তৃণমূলেরই একাংশের

সিপিএম নয়, জয়নগরের বামনগাছি এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুন হয়েছেন দলেরই অপর গোষ্ঠীর হাতে। সিপিএমের এই দাবিতে সুর মেলালেন দলেরই স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশ। তাদের দাবি, এই খুনের সঙ্গে সিপিএম – বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দেই খুন হয়েছেন সইফুদ্দিন লস্কর। সইফুদ্দিন খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে যাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে সেই সাহাবুদ্দিনও তৃণমূল সমর্থক। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নিজের বুথে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেছেন তিনি।

সাহাবুদ্দিনের বাড়ি যে গোদাবর গ্রামে সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী অখতারউদ্দিনের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিলেন সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে আমার স্ত্রী এসমাতারা নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়েন। এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন রাজা সরদার। ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছিলেন সাহাবুদ্দিন। যদিও আমার স্ত্রী ৬৯ ভোটে জেতেন। স্বামী তৃণমূল সমর্থক ছিলেন বলে আগেই দাবি করেছিলেন সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী জরিনা বিবিও।

বলে রাখি, সোমবার ওই খুনে দক্ষণ ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস ছড়াতে বিজেপি – তৃণমূল এই খুন করেছে। তবে তৃণমূলের একাংশের মতে, ওই এলাকায় তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলের কার্যত কোনও অস্তিত্ব নেই। বরং গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতেও রয়েছে মাদার ও যুব তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। সম্ভবত সেই বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন সইফুদ্দিন। যে ভাবে তিনি এলাকায় দল ও প্রশাসনের সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন তা মেনে নিতে পারছিলেন না দলের অনেক নেতাই।