গুদামগুলিতে নির্ধারিত পরিমাণের বেশি গম মজুত নেই তো! নজরদারির নির্দেশ

রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এছাড়াও একের পর এক বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ফলে এই মুহূর্তে রেশন দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঠিক সেই মুহূর্তে গম মজুতের উপর বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিল খাদ্য দফতর। সে ক্ষেত্রে একটি বিশেষ দল তৈরি করে খুচরো থেকে শুরু করে পাইকারি ব্যবসায়ী, ময়দা কল রিটেল চেইন সংস্থার ওপর নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে গম আমদানি করতে পারে ভারত, ভোটের আগে সতর্ক মোদী সরকার: Report

গত ৩০ অক্টোবর রাজ্য সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । তাতে বলা হয়েছে গোডাউন পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোনও গোডাউনে নির্দিষ্ট সীমার বেশি গম মজুত থাকলে সে বিষয়টি জেলা শাসকের নজরে আনতে হবে। আর কলকাতার ক্ষেত্রে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে পুলিশ কমিশনারের কাছে। জেলায় গম মজুতকারী সংস্থাগুলির যে তালিকা রয়েছে তার অন্তত ২০ শতাংশ গুদামে প্রতিমাসে অভিযান চালাতে হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার গত জুন মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে গুদামে সর্বোচ্চ কত পরিমাণ গম মজুত রাখা যাবে তার সীমা বেধে দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনও খুচরো বিক্রেতা ১০ টনের বেশি গম মজুত রাখতে পারবেন না। হোলসেলারের ক্ষেত্রে ৩০০০ টন। আর মিলগুলির ক্ষেত্রে উৎপাদন ক্ষমতার উপর নির্ভর করে এই সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে আটা সরবরাহে ব্যাপক অনিয়ম সামনে এসেছে। সাধারণত খাদ্য দফতরের তরফে রেশনের জন্য ময়দাকলগুলিকে গম দেওয়া হয় তার পরিবর্তে ময়দা কলগুলি আটা সরবরাহ করে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সেই আটার বড় অংশ বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে । এই নির্দেশ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। খাদ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই সমস্ত গুদামগুলিতে অভিযান চালানোর প্রক্রিয়া আগামী মার্চের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে। তাছাড়া যারা গম মজুত করে রাখেন পোর্টালে যাতে তাদের নাম নথিভুক্ত করা হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলেছে খাদ্য দফতর।