৩ মাস পার, শাস্তি কবে? তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে বিস্ফোরক যাদবপুরের VC

যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর তিন মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই মৃত্যুর জন্য যে বা যারা দায়ি তাদের এখনও কোনও শাস্তি হয়নি। এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।

টিভি নাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপাচার্য নিজেই এই কমিটি নিয়ে সন্তুষ্ট নন। এমন কি তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্টে দোযীদের যে তালিকা দিয়েছে তাও ধোঁয়াশা ভরা বলে মনে করেন তিনি। 

তাঁর কথায়, অভিযুক্তদের একটি তালিকা তৈরি করেছে তদন্ত কমিটি। তাদের পাশে ‘আনআইডেন্টিফায়েড’ কথাটিও লেখা হয়েছে। উপাচার্যের প্রশ্ন,’এর কী মানে? যাঁরা তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তি দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন তাঁদের উদ্দেশ্য ভাল নয়। তদন্ত কমিটি নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। প্রথমেই যদি এআরএস তদন্ত করত তাহলে এত ঢিলে হতো না।’

উপাচার্য চান অভিযুক্তের শাস্তি হোক, তবে তা যেন সাধারণ যে কোনও অপরাধীর মতো না হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের মতো তদন্ত করতে পারি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আলাদা আবেগ কাজ করে। অভিযুক্ত ছাত্রদের যেকোনও অপরাধীর মতো শাস্তি দেওয়া যেতে পারে না। যিনি ছেলে হারিয়েছেন, তাঁর প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। আমরাও শাস্তি দিতে চাই। তবে অভিযুক্তরা ছাত্র, তাই আমাদের সে কথাটা মাথায় রাখতে হবে। ‘

(পড়তে পারেন। দাদা–ভাইদের পাতে এবার পড়বে না পদ্মার ইলিশ, ভাইফোঁটায় হতাশ দিদি–বোনেরা)

তদন্ত কমিটির গঠন নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। কিন্তু তাঁরা একবারও ভাবছেন না, যে বিশ্ববিদ্যালয়কে কী ভাবে র‌্যাগিংমুক্ত করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম প্রতিটি বর্ষের জন্য আলাদা করে হস্টেল করা উচিত।’

উপাচার্যের সঙ্গে একমত নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই তিন মাসে ইউজিসি-র গাইডলাইন মেনে কী কী পদক্ষেপ করল? এত বড় ঘটনায় প্রকৃত দোষীরা কবে শাস্তি পাবে?’

তবে দোষীদের নিয়েও ধন্দে তারা। পার্থপ্রতিম রায়ের কথায়। ‘কারা দোষী, তা স্পষ্ট নয়। তাহলে কি কাউকে এখানে আড়াল করার চেষ্টা চলছে?’