Hit by Bandhan express: কানে হেডফোন দিয়ে রেল লাইন পারাপার, বন্ধন এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু যুবতীর

কানে হেডফোন দিয়ে রেল লাইন পারাপার না করার জন্য রেলের তরফে বারবার প্রচার করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও হুশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের। বহু মানুষকে কানে হেডফোন দিয়ে রেল লাইন পারাপার বা রেল লাইক ধরে হাঁটতে দেখা যায়। আর তার ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এবার ফের কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন পারাপার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবতীর। কলকাতা থেকে বাংলাদেশগামী বন্ধন এক্সপ্রেসের ধাক্কায় যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বনগাঁর ঠাকুরনগর স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরজেরে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় স্টেশন চত্বরে। মৃত যুবতীর নাম শর্মিলা পরমানিক(২৭)। তিনি চাঁদপাড়ার ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে একই জেলায় অগ্নিকাণ্ড দ্বিতীয় ট্রেনে! এবার আহত ১৯ যাত্রী

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী একটি প্যাথলজি ল্যাবে রক্ত সংগ্রহের কাজ করেন। ট্রেন থেকে নেমে রেল লাইন পার হয়ে রক্ত সংগ্রহের জন্য যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। সেই সময় যুবতীর কানে হেডফোন ছিল। ফলে ট্রেনের আওয়াজ শুনতে পাননি তিনি । আর তার জেরেই বন্ধন এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়েন। এরফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তাঁর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লাইন পারাপার করার সময় ডাউন লাইনে ট্রেন চলে আসলে ওই যুবতী আপ লাইনে গিয়ে দাঁড়ান। তবে সেই সময় ওই লাইন ধরেই এগিয়ে আসছিল বন্ধন এক্সপ্রেস। ওই ট্রেন দেখতে পেয়ে আশেপাশের মানুষজন চিৎকার চেঁচামেচি করে ওই যুবতীকে সতর্ক করেন। কিন্তু, কানে হেডফোন থাকায় তিনি কিছুই শুনতে পাননি। তখন বন্ধন এক্সপ্রেস এসে তাঁকে ধাক্কা মারে।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জিআরপি। মৃত যুবতীর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা।ওই যুবতীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় যুবতীর পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। ট্রেনে কাটা পড়াকে কেন্দ্র করে স্টেশন চত্বরে ভিড় করেন যাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু বা কাটা পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়।জীবনের ঝুঁকি রয়েছে জেনেও গান শোনার নেশায় বা কথা বলার জন্য অনেকেই ট্রেন লাইন ধরে এভাবে চলাচল করেন। সেই ক্ষেত্রে রেলের তরফে বারবার সতর্ক করা হয়। তা সত্ত্বেও সচেতন হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। আর যার ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে।