Jyotipriya Mullick: ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে বালু, জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে ED

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় আদালতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল আদালত। এদিনও আদালতে জামিনের আবেদন করেননি জ্যোতিপ্রিয়। তার বদলে বিচারকের কাছে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চেয়ে আবেদন জানান তিনি। আবেদন জানান, জেলে খাট ও টেবিল দেওয়ার। কিন্তু কোনও আবেদনেই সায় দেননি বিচারক।

শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এদিন জ্যোতিপ্রিয়কে সশরীরে আদালতে পেশ করেনি জেল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, জ্যোতিপ্রিয়র গায়ে ব্যথা হয়েছে। বদলে তাঁকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয়। শুনানি শুরু হতেই জ্যোতিপ্রিয় বিচারককে বলতে শুরু করেন, আমার শরীর খুব খারাপ। সাড়ে তিনশর ওপরে সুগার। আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দিন। আমাকে বাঁচতে দিন। এখানেই থামেননি মন্ত্রী। বিচারককে তিনি বলেন, আমি হাইকোর্ট ও ব্যাঙ্কশাল আদালতের বারের সদস্য। আমি একজন আইনজীবী। একথা শুনে বিরক্ত বিচারক জ্যোতিপ্রিয়কে চুপ করতে বলেন। প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কি বসে থাকতে কোনও সমস্যা হচ্ছে? তাহলে আপনি সেলে যেতে পারেন। আইনজীবী হলে আপনি নিশ্চই আদালতের এক্তিয়ার জানেন।’

এর পর জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, ‘জ্যোতিপ্রিয় অসুস্থ তাঁকে জেলে খাট ও টেবিল দেওয়া হোক।’ আবেদন খারিজ করে বিচারক বলেন, ‘এটা জেলের এক্তিয়ার। আদালত নির্দেশ দিতে পারে না।’

এর পর ইডির তরফে সওয়াল করে বলা হয়, ‘জ্যোতিপ্রিয়র যে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে তিনি আদালতে আসতে পারবেন না এতটা অসুস্থ নন। ইডি জ্যোতিপ্রিয়কে জেলে গিয়ে জেরা করতে চায়। সঙ্গে ডিজিটাল যন্ত্র নিয়ে জেলে প্রবেশ করার অনুমতি চায়। অনেক নতুন তথ্য উঠে আসছে। সব খোলা আদালতে বলা সম্ভব নয়।’

এদিন জ্যোতিপ্রিয় জামিনের আবেদন না করায় অবধারিতভাবে তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ে। বিকেলে রায় ঘোষণা করে জ্যোতিপ্রিয়কে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ইডিকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। জবানবন্দি রেকর্ড করতে জেলে ডিজিটাল যন্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারবে তারা।