Manik Bhattacharya: প্রাথমিক দুর্নীতির দায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা মানিকের

প্রাথমক নিয়োগ দুর্নীতির দায় এবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের মামলার শুনানিতে এই দাবি করেন তিনি। আদালতকে তাঁর প্রশ্ন, আমার নাম করে কেউ টাকা তুললে তার দায় আমার ওপর বর্তায় কী করে?

এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে মেধাতালিকা তৈরি করে জেলায় পাঠানো হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সেই তালিকা অনুসারে নিয়োগ না করলে তার দায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ওপর বর্তায় না। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনার আমলে কত নিয়োগ হয়েছে। মানিকবাবু জানান, প্রায় ৪৪০০০। বিচারপতি জানতে চান, তার মধ্যে কতজন ভুয়ো বেরিয়েছে? মানিক বলেন, ৯৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি পর্ষদ। তার পরও তাদের নিয়োগ করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এর পর আদালতে মানিক ভট্টাচার্য সওয়াল করে বলেন, ‘আমার নাম করে কেউ টাকা নিলে আমার কী করার আছে? তাতে কী ভাবে প্রমাণ হয় যে টাকা আমিই নিতে বলেছি?’

এদিন ইডির তরফে দাবি করা হয়, মানিক ও তার ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ৪ বার চাওয়া হয়েছে। তার পরও তা হাতে পায়নি। ইডি। মানিকবাবু তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এর পর বিচারপতি ইডিকে বলেন, ‘তদন্তে অগ্রগতি না হলে এভাবে একজনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলে আটকে রাখা যায় না। দ্রুত এব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে ইডিকে।’