Manik Bhattacharya: সমাজে ঋণাত্মক প্রভাব পড়তে পারে, মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত

কলকাতা হাইকোর্টে ফের খারিজ হয়ে গেল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন। বৃহস্পতিবার শুনানির পর মানিকের আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, মানিক ভট্টাচার্যকে জামিন দিলে সমাজে তার প্রভাব পড়তে পারে।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মানিকের আইনজীবীরা সওয়াল করে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ শুধুমাত্র জেলাভিত্তিক প্যানেল তৈরি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু নিয়োগ হয় জেলা থেকে। তারা কোনও দুর্নীতি করে থাকলে তার দায় পর্ষদের হতে পারে না।’ মানিকের পক্ষে আরও দাবি করা হয়, ‘আমার নাম করে কেউ টাকা তুললে তার দায় আমার ওপর বর্তায় কী করে? কী ভাবে প্রমাণ হয় যে তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল?’

পালটা ইডির তরফে সওয়াল করে বলা হয়, মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। তখন বিচারপতি ঘোষ বলেন, তদন্তে অগ্রগতি না হলে কাউকে অনির্দিষ্টকাল জেলে রাখা যায় না। পালটা ইডির আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন, ‘মানিক ও তার ছেলের ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্য চেয়ে ৪ বার ব্যাঙ্ককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তথ্য ইডির হাতে আসেনি। যার ফলে তদন্ত আটকে রয়েছে।’

সন্ধ্যায় মামলার রায় ঘোষণা করে বিচারপতি ঘোষ জানান, মানিকের জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, মানিককে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। সমাজে তার ঋণাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করার জন্য সিবিআইকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ততদিন পর্যন্ত অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।