‘‌ভাইপোকে দায়িত্ব দিয়ে রিজাইন করুন’‌, মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিষেককে চাইলেন দিলীপ

এবার আমডাঙায় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান খুন হয়েছেন। পুলিশ আজ, শুক্রবার একজনকে গ্রেফতার করেছে। গত সোমবার জয়নগরে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর। সুতরাং রাজ্যে পর পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা খুন হচ্ছেন বলেই খবর। আর এই ইস্যুতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। এবার আজ, শুক্রবার নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে মুখ্যমন্ত্রী বদলের কথা বললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করে দায়িত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিক বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

হঠাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদে দিলীপ ঘোষের দেখতে চাওয়ায় তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’‌বেলা গালিগালাজ করেন বিজেপি নেতারা, এবার তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাইলেন আর এক বিজেপি নেতা। বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ঠিক কী বলেছেন দিলীপ?‌ এই পর পর দুটি খুনের ঘটনা নিয়ে দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, ‘‌প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। কেউ বিরোধিতা করলে, তাঁকে রেয়াত করা হচ্ছে না। প্রশাসন কোথায়? আইনশৃঙ্খলা কোথায়? সরকার কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী দু’‌মাস ধরে বাড়িতে বসে আছেন। তিনি চালাতে পারছেন না। অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। ভাইপোকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) দায়িত্ব দিয়ে রিজাইন করুন। পুলিশ মন্ত্রী অন্য কাউকে করুন। পারবেন না, এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’‌

এদিকে জয়নগর এলাকায় সইফুদ্দিন লস্করের মৃত্যুর পর এক অভিযুক্তকে জনতা পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ। তারপর গ্রামের একাধিক বাড়িতে এই হত্যার রেশ নেমে আসে। তা নিয়ে বিরোধীরা নানা মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার আমাডাঙা কামদেমপুর হাটে আমডাঙা পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলকে বোমা মেরে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর তা নিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধের মতো ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রশাসনিক ও পুলিশের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন:‌ বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের জিজ্ঞাসাবাদে হবে ভিডিয়ো রেকর্ডিং, তৎপর শান্তিনিকেতন থানা

অন্যদিকে আজ নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বিষোদগার করেন। দিলীপের বক্তব্য, ‘‌রাজনৈতিক কর্মীরা মানুষের কাছে যায় না। মানুষকে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা পাকিস্তান–আফগানিস্তানের মতো হয়ে যাচ্ছে। এখানে কেউ সুরক্ষিত নয়। এবার কি মানুষ অস্ত্র নিয়ে নামবে? বিদ্রোহ করবে? পুলিশ কি করবে? সরকার কি করবে? অর্ধেক পুলিশ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও খুন হচ্ছে। সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতো খুন হয়। চার্জশিট হয় না।’‌