Bangladesh parliament election 2023: বাংলাদেশে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট বাতিলের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক বিএনপি’র

বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীরা।  আর এবার এর প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আগামী রবিবার সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা হরতাল চলবে বলে দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একটি গোপন জায়গা থেকে ভার্চুয়ালি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। মূলত নির্বাচনী নির্ঘণ্ট বাতিল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ইস্তফা সহ একাধিক দাবিতে এই হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনের দামামা বেজে গেল, সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি

গত বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। তার আগে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এর পরে হবে স্ক্রুটনি। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রতীক বিলি করা হবে। নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশ অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকায় এই দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এর পরেই সরব হতে দেখা যায় বিরোধী দলগুলিকে। একাধিক দল এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানী ঢাকায় আলাদা আলাদা বিক্ষোভ মিছিল করে। যার মধ্যে রয়েছে, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২টি দলীয় জোট এবং বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করেছিল বিএনপি। তাতে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। এরপর হরতালের ডাক দিয়েছিল দলটি। তারপরে ৫ দফায় সারাদেশে ১১ দিন সড়ক পথ, রেল পথ এবং জলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল বিএনপি। এই অবস্থায় নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিল বিএনপি। এদিকে, বিএনপি’র পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ ও লেবার পার্টিসহ আরও কিছু বিরোধী দলও একই সময়ে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালনের কথা ঘোষণা করেছে।

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস ধরেই নির্বাচনের আগে হাসিনার সরকারের ইস্তফার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি সহ বিরোধী দলগুলি। তাদের বক্তব্য, হাসিনার সরকারের অধীনে দেশে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া সম্ভব নয়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি বিএনপির সমাবেশে হিংসার ঘটনা ঘটার পরেই দলের কয়েক হাজার নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বিএনপি তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে।  এইসব বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করতে বিএনপির তরফে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।