UCO Bank suspends IMPS Transfers: ‘কোথাও একটা গলদ আছে’, IMPS ট্রান্সফার স্থগিত করল UCO ব্যাঙ্ক, সমস্যায় গ্রাহকরা

ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেম বা আইএমপিএস স্থগিত করল কলকাতা ভিত্তির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইউকো। জানা গিয়েছে, গোলযোগের জেরেই বুধবার আইএমপিএস ট্রান্সফার বন্ধ করতে বাধ্য হয় ইউকো ব্যাঙ্ক। গতকাল শেয়ার বাজারের এক ফাইলিংয়ে ইউকো জানায়, অন্য কোনও ব্যাঙ্কের গ্রাহরকা ইউকো ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের আইএমপিএস-এর মাধ্যমে টাকা পাঠালে তা ইউকোর গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে না। গত ১০ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে এই ঝামেলা দেখা যায়। এই আবহে বুধবার বন্ধ করে দেওয়া হয় আইএমপিএস ট্রান্সফার ব্যবস্থা। (আরও পড়ুন: ফেরানো হয়েছে মাত্র ১৩৮ কোটি, সেবির পকেটে থাকা ‘সাহারার ২৫ হাজার কোটি’র কী হবে?)

এদিকে ব্যাঙ্ককর্মীরা বলছেন, আইএমপিএস-এর কোনও গলদের জন্য এই ঝামেলা হয়ত হয়নি। কোথাও কোনও ব্যাঙ্ক কর্মীর ভুলেই এই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। প্রাথমিক ভাবে যদিও আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে সাইবার সমস্যার জেরেই এই ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে। যদিও ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এই নিয়ে মুখ খোলা হয়নি। ইউকো ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে শুধু বলা হয়েছে, ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আপাতত ব্যাঙ্ক আইএমপিএস চ্যানেলটিকে অফলাইন করে দিয়েছে। এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করছে ব্যাঙ্ক। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং তারপরই ফের নতুন করে চালু করা হবে আইএমপিএস ট্রান্সফার। পুলিশকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারাও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

প্রসঙ্গত, ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেম বা আইএমপিএস হল এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে একটি ব্যাঙ্কের থেকে অন্য ব্যাঙ্কের গ্রাহককে অনলাইনে টাকা পাঠানো সম্ভব। সঙ্গে সঙ্গেই সেই টাকা একজন গ্রাহকের কাছ থেকে অন্য গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। এদিকে আইএমপিএস-এর মাধ্যমে দৈনিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করা যায়। এদিকে আইএমপিএস করলে লেনদেন প্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত চার্জ কাটতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। এদিকে আইএমপিএস ছাড়াও এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অনলাইনে টাকা পাঠানো যায় ‘ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার’ বা এনইএফটি-র মাধ্যমে। তবে এই ব্যবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে টাকা ট্রান্সফার হয় না। এদিকে আপাতত ইউকো ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা আইএমপিএস-এর বদলে এনইএফটি ব্যবহার করতে পারবেন কি না, তাও স্পষ্ট করেনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।