Visva Bharati: বিদ্যুতের সঙ্গে বিদায় বিতর্কিত ফলকেরও, নতুন ফলকে হিন্দি থাকলেও থাকবে না বাংলা

অবশেষে ইতি পড়ল বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে। ফলক পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিল শিক্ষা মন্ত্রক। নতুন ফলকে কী লেখা হবে তা ঠিক করতে বিশ্বভারতীকে ৪ জন অধ্যাপকের কমিটি গড়তে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও থামছে না বিতর্ক। কারণ, ইংরাজি ও হিন্দিতে লেখা হবে ফলক থাকবে না বাংলা।

বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন বিশ্ববারতীর নবনিযুক্ত উপাচার্য সঞ্জয় মল্লিক। তার মধ্যেই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের চিঠি। সেই চিঠিতে ইউনেসকো স্বীকৃতি পাওয়াকে স্মরণীয় করতে প্রাক্তন উপাচার্যের লাগানো ফলক প্রতিস্থাপন করতে বলা হয়েছে। নতুন ফলক ইংরাজি ও হিন্দিতে লিখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। সঙ্গে ফলকে কী লেখা হবে তা ঠিক করতে ৪ জন অধ্যাপকের কমিটি গড়তে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক। চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফলকে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী বা উপাচার্যের নাম থাকবে না। ফলকের মাঝখানে থাকবে ভারত সরকারের অশোক স্তম্ভ। দুপাশে থাকবে ইউনেসকো ও বিশ্বভারতীর লোগো। ফলকের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে তা শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের কাছে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে অনুমোদন এলে তৈরি করতে হবে ফলক।

কেন্দ্রের নির্দেশ পেয়েই ইচিমধ্যে অমল পাল, শকুন্তলা মিশ্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়সহ ৪ জন অধ্যাপকের কমিটি গঠন করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

গত সেপ্টেম্বরে ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি পায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফলক স্থাপন করেন তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই ফলকে আচার্য ও উপাচার্যের নাম থাকলেও নেই রবীন্দ্রনাথের নাম। উপাচার্যের এই পদক্ষেপে গর্জে ওঠেন বাংলার সুশীল সমাজ। অস্বস্তিতে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও। বিদ্যুৎ বিদায়ের পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই বিতর্কিত সেই ফলক সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ এল দিল্লি থেকে। তবে নতুন ফলকে থাকবে না বাংলা।