দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী, কোন মাসে সেটা ঘটবে?‌

লোকসভা নির্বাচন বছর ঘুরলেই। আর এখন থেকেই সব রাজনৈতিক দল নেমে পড়েছে মাঠে। এই আবহে বাংলায় আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ধর্মতলায় লক্ষ কণ্ঠের গীতাপাঠে যোগ দেবেন তিনি ডিসেম্বর মাসে বলে খবর। নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ আসছেন কলকাতায়। আর এমন এক প্রেক্ষাপটে দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় খবর জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পোস্তা বাজারে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এপ্রিল মাসের মধ্যেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়ে যাবে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ২০২৪ সা‌লের জানুয়ারি মাসে অযোধ্যার ‘রাম মন্দির’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরই দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের করার কথা কার্যত জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পোস্তায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলায় তাঁর আমলে কী কী কাজ হয়েছে। তারাপীঠ, চাকলা–সহ নানা জায়গাকে যে ঢেলে সাজানো হচ্ছে তা বললেন তিনি। তাঁর ঘোষণা, ‘‌দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের যে উচ্চতা, সেই একই উচ্চতায় বানানো হচ্ছে। এপ্রিলের মধ্যে এটি তৈরি হয়ে যাবে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ হবে।’‌

এদিকে বাংলাকে বঞ্চনা করার কাজ যে কেন্দ্রীয় সরকার করেছে সেটা এই মঞ্চ থেকেই তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘শুধু বিজ্ঞাপন করা হচ্ছে। এই যে বিজ্ঞাপন, সেটার টাকায় ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটানো যেত।’ দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কয়েক বছর ধরে চলছে। ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ঘোষণা করেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধাঁচে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হবে। তা থেকেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। দায়িত্ব নিয়ে হিডকো কাজটি করছে। এই মন্দির সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেলে দিঘায় পর্যটকদের ঢল আরও বেশি করে নামবে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অবিকলভাবেই তৈরি করা হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেট’ কোনটি?‌ নতুন নামকরণ সামনে নিয়ে এলেন রাজ্যপাল

অন্যদিকে বিজেপি রাজ্যের শাসকদলকে হিন্দু বিরোধী তকমা দিতে যখন মরিয়া তখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে পোস্তার কিছু সমস্যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌পোস্তার জমি নিয়ে মামলা চলছে। এটার মালিক এখনও রাজ্য সরকার। এখানে পোর্টের থেকে কাগজ দেখানো হচ্ছে। সে কাগজ বৈধ নয়। পুলিশ আইন দফতর এবং ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কথা বলে বেআইনি কাজ রুখবে। এখানে খাস জমি দখল করে ব্যবসা চলছে। অনেকেই সেটা জানতে না পেরে সেখানে ঘরবাড়ি কিনছেন।’‌