Gita reading program: লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে আসছেন মোদী, মমতাকেও জানানো হবে আমন্ত্রণ

বড়দিনের আগের দিন আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি কোনও রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন না। গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে ১ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হবে ব্রিগেডের ময়দানে। তাতেই অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল দিল্লিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে সাধু সন্তরাও ছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার জানান, প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসতে রাজি হয়েছেন।

আরও পড়ুন: অভিষেক নম্বর দেওয়ার পর ফোন এল সুকান্তর কাছে, নমুনা দিলেন এক্সে, উঠল প্রশ্নও

সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, প্রায় ১.২ লক্ষ মানুষের কণ্ঠে ওই দিন গীতা পাঠ হবে। তাদের সঙ্গে গলা মেলাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।সুকান্ত আরও জানিয়েছেন, আয়োজকরা বাংলার ঐতিহ্য অনুসারে বিখ্যাত বাঙালি আইকন কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীত বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আয়োজক কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানটি অরাজনৈতিক। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৩৬০০র বেশি হিন্দু সংগঠন অংশগ্রহণ করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এই অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত, গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিভিন্ন মঠ এবং মন্দিরের মিলিত মঞ্চ। বিজেপির তরফে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তবে এটি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান না হলেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আবহে গীতা পাঠের এই অনুষ্ঠান তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠানে রাজ্য বিজেপির নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এর পাশাপাশি সমস্ত দলের বিধায়কদেরই আমন্ত্রণ জানানো হবে। আয়োজকরা সুকান্ত মজুমদারকে কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তাই তাঁকে আয়োজকরা আমন্ত্রণ জানাবেন বলে মনে হয়। এর পাশাপাশি সমস্ত সংসদ এবং রাষ্ট্রপতিকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। বিজেপির এই ধরনের ধর্মীয় রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, যাদের রুটি কাপড় দেওয়ার ক্ষমতা নেই তারা ধর্ম নিয়ে এরকম ভাবে রাজনীতি করছে। গীতা নিয়ে রাজনীতি ব্যর্থ হবে বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ।