Kolkata Antibiotic Resistance Is Scaring Doctors WB To Hold Special Meeting

ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগে রোগভোগ লেগেই রয়েছে। কিন্তু অ্যন্টিবায়োটিক খেয়েও ফল পাচ্ছেন না অনেকেই। অনেক ক্ষেত্রে ওষুধপত্রও কাজ করছে না শরীরে। এমন একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে শহরে। তাতে উদ্বেগ দেখা দিতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে রোগীর শরীরে অ্যন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠে থাকতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্যের তিন দফতর এবং বিশেষ কমিটি। (Antibiotic Resistance)

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই, যখন তখন মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন হয়ত। কিন্তু লাগাতার অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েও নিরাময় হচ্ছে না। 
সারছে না ফুসফুসের সংক্রমণ। চিকিৎসক বার বার অ্যান্টিবায়োটিক বদলে দেওয়া সত্ত্বেও হয়ত লাভ হচ্ছে না কোনও। এক্ষেত্রে হতে পারে আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে মাল্টি ড্রাগ রেসিস্ট্যান্স ব্যাকটিরিয়া। চিকিৎসকদের একাংশ অন্তত তেমনটাই আশঙ্কা করছেন। কিন্তু এরকমটা কেন হচ্ছে? সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায়ের বক্তব্য, “আমাদের আশঙ্কা, পরবর্তী কালে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও রোগ সারানো যাবে না।” এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। (WB Health News)

চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, “বহু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকে সারছে না। আরও ব্যয়বহুল অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। কোভিডের সময়ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Bankura Fraudster Jinn: সাতঘড়া মোহর, হিরে-জহরত, আরও কত কী…জিনের ফোনে সর্বস্বান্ত হলেন ইনি

সম্প্রতি পেটের সমস্যা এবং টাইফয়েডের উপসর্গ নিয়ে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সুন্দরবনের এক যুবক৷ এক সপ্তাহ ধরে রোগ না সারায়, তাঁর মল পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, শরীরে সালমোনেলা টাইফি (টাইফয়েডের জীবাণু), অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠেছিল। যে কারণে অত্যন্ত ব্যয়বহুল বা অনেক উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা।

এর ফলে তাঁর চিকিৎসার খরচও কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকরী না হলে, তাঁকে বাচানো সম্ভব হত না বলে চিকিৎসকদের অভিমত। এই প্রবণতা চিন্তায় ফেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে তারা, যার মধ্যে তালিকায় প্রথমেই রয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ।

ট্রিমোরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে নিয়ে আয়োজিত একটি কনফারেন্সে এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। ১১টি সদস্য দেশের মধ্যে ৫টি দেশ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা, এখনই সতর্ক না হলে ২০৫০-এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারে প্রতিবছর ১ কোটি লোকের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।  তাই এখনই সতর্ক হতে হবে সকলকে।

শনিবার থেকে শুরু হয়েছে Antimicrobial resistance বা AMR সতর্কতা দিবস পালন। চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। এরই মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ময়দানে নামতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর ও মৎস্য দফতর। আগামী ২৩ নভেম্বর, তিন দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ কমিটির সদস্যরা।

একদিকে যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এইভাবে সতর্কবার্তা দিচ্ছে, তেমনি রাজ্য সরকারের চিকিৎসকদলও গবেষণা করে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী বেশকিছু ব্যাকটেরিয়াকে চিহ্নিত করেছে। যাদের নামের ইংরেজির প্রথম অক্ষর দিয়ে নাম রাখা হয়েছে ESKAPE; এনটেরোককাস ফিসিয়াম, স্ট্যাফাইলোককাস ওরিয়াস, ক্লেভসিয়েলা নিউমনিয়াই, অ্যাসিনোব্যাকটার বউমেনিয়াই, সিওডোমোনাস অ্যারিজিনোসা, এন্টেরোব্যকটার।

চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের বক্তব্য, “স্বাস্থ্য দফতর একগুচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক চিহ্নিত করেছে। শীঘ্রই SOP প্রকাশ করা হবে, কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে, সেই নিয়ে।” এখনই সতর্ক না হলে, পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা।

 

Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )

Calculate The Age Through Age Calculator