Lizard in Samosa: সিঙ্গারায় কামড় দিতেই ভিতরে মিলল মৃত টিকটিকি, অসুস্থ বাবা ও মেয়ে

অনেকের প্রিয় খাবার হল সিঙ্গারা। কিন্তু, সম্প্রতি একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যা জানার পর অনেকেই সিঙ্গারা খাওয়ার আগে কয়েকবার ভাববেন। সিঙ্গারার ভিতরে মিলল টিকটিকি। এক ক্রেতা সিঙ্গারা কেনার পর এক টুকরো মুখেও দিয়েছিলেন। তখনই তিনি সিঙ্গারার ভিতরে মৃত টিকটিকি দেখতে পান। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল গিয়েছে। সিঙ্গারায় টিকটিকি দেখার পরেই দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। যার মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  ঘটনাটি হল উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার। এই ঘটনায় সিঙ্গারা তৈরির দোকান মালিকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ এবং খাদ্য দফতর এই  ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে মরা টিকটিকি! খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৩ জন

জানা গিয়েছে, মনোজ কুমার নামে এক ব্যক্তি ছেলেকে স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকান থেকে সিঙ্গারা কিনে আনতে বলেন। সেই মতোই সিঙ্গারা কিনে আনে তার ছেলে।  এরপর মেয়ের সঙ্গে সিঙ্গারা খেতে শুরু করে দিয়েছিলেন মনোজ। মেয়েটি সিঙ্গারার একটি টুকরো মুখে দিতেই টিকটিকি দেখতে পায়। এরপর তার বাবাকে দেখায়। ততক্ষণে মনোজ কিছুটা সিঙ্গারা খেয়ে ফেলেছিলেন। ঘটনার পরেই দুজনে বমি করতে শুরু করেন। পরে তাদের পেট ব্যাথা শুরু হয়। একটি ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মনোজ রাস্তার পাশে বমি করার চেষ্টা করছেন। তাতে সিঙ্গারার আলুর মধ্যে একটি মৃত টিকটিকিও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তারপরে সিঙ্গারাটি প্রমাণ হিসাবে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে দেন ওই ব্যক্তি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকানের মালিকের সঙ্গে মনোজের বচসা বাঁধে। ঘটনায় থানায় দোকান মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ ও খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা এসে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। যদিও মনোজের অভিযোগ, পুলিশ এবং খাদ্য দফতরের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই ঘটনায় দোকান মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মনোজ। যদিও সিঙ্গারার ভিতর টিকটিকি থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দোকান মালিক। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, খাবারে কখনও টিকটিকি কখনও আরশোলা বা পোকামাকড় পাওয়ার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এই সংক্রান্ত একাধিক মামলায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত গাফিলতির দায়ে অনেক সময় মোটা অঙ্কের জরিমানা করে থাকে।