খড়দায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার স্বামী, স্ত্রী, দুই সন্তানের দেহ,পাশে লেখা শেষ ইচ্ছার নোট, কী আছে তাতে?

খড়দায় রহস্যমৃত্যু। খড়দায় একটা আবাসন থেকে উদ্ধার দম্পতি ও তাদের দুই সন্তানের দেহ। সূত্রের খবর, বাড়ির কর্তা কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন। তার দেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানের দেহ মিলেছে ঘর থেকে। খড়দার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে করবী টাওয়ার্সের একটা আবাসন থেকে ওই দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। 

মৃতের নাম বৃন্দাবন কর্মকার। তাদের আট বছরের ছেলে ও ১৬ বছেরর মেয়ের দেহও মিলেছে ফ্ল্যাট থেকে। মনে করা হচ্ছে ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করে বৃন্দাবন আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। কী রয়েছে তাতে? 

আসলে বছর খানেক ধরে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত ওই পরিবার। কিন্তু দিন দুয়েক ধরে তাদের দরজা খুলছিল না। সকালে স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন ফ্ল্য়াটের মালিক। এরপর পুলিশ আসে। শেষ পর্যন্ত দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। এরপর একে একে দেহগুলিকে উদ্ধার করা হয়। 

কিন্তু কেন এই মৃত্যু? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করা হত। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা লেগেই থাকত। সম্ভবত তার পরিণতিতেই এই ভয়াবহ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। স্ত্রীর প্রতি প্রচন্ড রাগে তিনি খুন করেন বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। 

মনে করা হচ্ছে দিন দুয়েক আগেই এই ঘটনা হয়েছিল। কিন্তু তারা দুদিন ধরে না বের হওয়ার পরে এদিন সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে। এরপর ঘরের সামনে থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল । তারপরই  চারিদিকে  খবর দেওয়া হয়। তারপর ঘর খুলতেই দেখা গেল মর্মান্তিক ছবি।

পুলিশ ইতিমধ্য়েই দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। কেন ওই ব্যক্তি এত বড় চরম পথ বেছে নিলেন সেটাও দেখছে পুলিশ। যাবতীয় সম্পত্তি এনজিওকে দেওয়ার ব্যাপারে নোটে উল্লেখ করা হয়েছে।