Cancer Therapy against TB: ক্যানসারের দাওয়াই সারিয়ে দিচ্ছে টিবি! জোড়া সাফল্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে

ক্যানসার চিকিৎসার জন্য আবিষ্কৃত চিকিৎসা পদ্ধতি। সেই কাজেই ব্যবহার করছিলেন চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা। তবে শেষ পর্যন্ত অন্য এক খেল দেখাল সেই থেরাপি। সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে বায়োমেডিসিন ও ফার্মাকোথেরাপি জার্নালে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, এই চিকিৎসা পদ্ধতি অর্থাৎ থেরাপির অন্য এক খেল। গবেষকদের দাবি, এই থেরাপি যক্ষ্মা অর্থাৎ টিবি রোগ সারাতেও পারদর্শী। আমাদের শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে যারা ওষুধ খেলেও ধ্বংস হয় না। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে বলা হয় ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। সেই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেই দিব্যি কাজ করছে নয়া ক্যানসার থেরাপি।

(আরও পড়ুন: খাবারে নিজের চুল গুঁজে দিয়ে ফ্রি-তে পেটপুজোর ধান্দা! CCTV ফুটেজে পর্দাফাঁস)

আমেরিকার টেক্সাসে বায়োমেডিক্যাল রিসার্ট ইনস্টিটিউটের গবেষকদের কথায়, টিবির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এই থেরাপি। রোগীর টিবি থাকলে তা নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে এই থেরাপি। কীভাবে পুরো পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে, তাও জানিয়েছেন গবেষকরা। এর জন্য দুই ধরনের কোশকে কাজে লাগানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

(আরও পড়ুন: ৩৫১ ফুট লম্বা এই পরচুলা নাম তুলল গিনিসে! বানানোর কায়দা জানালেন এই মহিলা)

ক্যানসার কোশের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এই কোশের মৃত্যু হয় না। পাশাপাশি এরা সংখ্যায় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে টিবি কোশও সংখ্যায় বাড়তে থাকে একইভাবে। এই থেরাপি দুইধরনের কোশের জন্য প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, কোশের টিঁকে থাকা আটকে দেয় নয়া থেরাপি। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় পর কোশকে মরে যেতে বাধ্য করে ক্যানসারের নয়া চিকিৎসা। ক্যানসার কোশ হোক বা টিবি কোশ, থেরাপির জেরে টিঁকতে পারে না কোনও কোশ। এর থেকেই বর্তমান সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।

সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১৬ লাখ মানুষ টিবি রোগে আক্রান্ত হন। এই মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস এই রোগের ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া সরাসরি আমাদের ফুসফুসে আক্রমণ করে। সংক্রমণ আটকাতে মাসের পর মাস ওষুধ খেতে হয় রোগীদের। এতে অবশ্য সমস্যা বাড়ে বৈ কমে না। কারণ ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে ওষুধের প্রভাব সহ্য করে নিতে থাকে। অর্থাৎ ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া হয়ে ওঠে। যার ফলে রোগের চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। নয়া ক্যানসার থেরাপি আবিস্কারের ফলে এই সমস্যা এবার দূর হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।