Chimeric Monkey: চোখের মণি সবুজ, চকমকে আঙুল! এই বাঁদরের ‘খেলা’ দেখলে রীতিমতো চমকে উঠবেন

চোখের মণি কালো নয়‌। আবার নীল বা খয়েরিও নয়। বরং সবুজ। সবুজ রঙের চোখের মণিই এবার তাক লাগিয়ে দিল গোটা বিশ্বকে। তবে এ চোখ মানুষের নয়, বরং মানুষের পূর্বপুরুষ বাঁদরের! কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? সম্প্রতি জিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন চিনা বিজ্ঞানীরা। দুই জিনের সংমিশ্রণে নয়া প্রাণী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁরা। তাতেই মিলেছে এই সাফল্য। সবুজ চোখ বাদে নজর কেড়েছে ওই বাঁদরের আঙুলগুলিও। প্রতিটি আঙুলের ডগাই রীতিমতো চকমকে দেখতে‌। যা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে। 

(আরও পড়ুন: ৩৫১ ফুট লম্বা এই পরচুলা নাম তুলল গিনিসে! বানানোর কায়দা জানালেন এই মহিলা)

বিজ্ঞানীদের কথায়, এই বিশেষ ধরনের বাঁদর আদতে চাইমেরিক মাঙ্কি। যার একইসঙ্গে সবুজ চোখ ও চকমকে আঙুলের ডগা রয়েছে। সিএনএন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চাইমেরিক মাঙ্কি দুটি আলাদা ডিএনএ থেকে জন্ম নিয়েছে। এই পরীক্ষানিরীক্ষা আগামীদিনে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাজে লাগবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি ওষুধের পরীক্ষানিরীক্ষাও আরও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিস্তারিতভাবে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল সেল নামক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায়‌। 

(আরও পড়ুন: এক মুহূর্তে হ্যাক করা যায়! এমন পাসওয়ার্ডই ব্যবহার করেন অধিকাংশ ভারতীয়)

গবেষণাগারে তৈরি করা এই বাঁদর অবশ্য বেশি দিন বাঁচেনি। মাত্র ১০ দিন ছিল এর আয়ু। বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা অনুসারে এর আয়ু শেষ করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীদের এই পরীক্ষানিরীক্ষা বিভিন্ন পশু প্রাণীর প্রজাতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সেই সংরক্ষণের কাজ এবার করা যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

জিনগতভাবে আলাদা দুটো নিষিক্ত ডিম্বাণুকে এই কাজে লাগানো হয়েছিল। গবেষণার সময় ওই দুটো ডিম্বাণুর স্টেম কোশ বার করে আনা হয়‌। সেই দুটির মিশ্রণে তৈরি করা হয় নয়া প্রজাতি। এই প্রজাতির বাঁদরকে গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে পূর্ণাঙ্গরূপ দেওয়া হয়। তার পরই নয়া প্রজাতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য নজর আসে বিজ্ঞানীদের। বৈশিষ্ট্য দুটি হল চোখের সবুজ মণি ও আঙুলের চকমকে ডগা।

সিএনএন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ম্যাকক প্রজাতির বাঁদরকে এই গবেষণায় কাজে লাগানো হয়। এই প্রজাতির ডিম্বাণু নিয়েই গবেষণা করা হয়। বিশ্বে এই প্রথম স্টেম কোশ দিয়ে একটি মিশ্র বা সংকর প্রজাতির বাঁদর তৈরি করা হল। এর মস্তিষ্কের গড়নেও বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানিন বিজ্ঞানীরা।