Cow Smuggling: গরু পাচার হচ্ছে কি না দেখতে হবে! জলপাইগুড়িতে ট্রেন থামিয়ে দিলেন গোরক্ষকরা

উদয়পুর গুয়াহাটি স্পেশাল ফেয়ার ট্রেন। আচমকাই উত্তর পূর্ব রেলের জলপাইগুড়ি এলাকায় থাকা বানারহাট স্টেশনে দাঁড় করানো হয় সেই ট্রেনকে। এদিকে বানারহাটে সেই ট্রেনের স্টপেজ নেই। আর সেই ট্রেনকেই দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল বানারহাটে। বজরং দল ও শ্রীরাম সেনার সদস্যরা ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাদের অভিযোগ ট্রেনের মধ্য়ে গরু পাচার করা হচ্ছে। সেই খবর নাকি তাদের কাছে রয়েছে। 

শুক্রবার রাতে কার্যত জোর করে ট্রেনটিকে তারা দাঁড় করিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তাদের অভিযোগ ১৯টি মোষকে জোর করে গাদাগাদি করে ওই ট্রেনে পাচার করা হচ্ছে। আসলে যাত্রীবাহী ট্রেনের যে অংশে পণ্য পাচারের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানেই গরু পাচারের অভিযোগ ওঠে। 

রাত ১১টা ৭ মিনিট থেকে রাত১১টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত ট্রেনটি দাঁড় করানো ছিল বানারহাট স্টেশনে। কিন্তু গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বজরং দল ও শ্রীরাম সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এভাবে ট্রেনে তল্লাশির এক্তিয়ার তাদের রয়েছে কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। তারা কি আদৌ কোনও ট্রেনে তল্লাশি চালাতে পারেন? প্রায় আট ঘণ্টা দেরিতে চলা একটি ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে কেন আরও দেরি করা হল? 

তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ট্রেনে অবৈধভাবে গরু পাচার করার খবর ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মোষের সন্ধান মিলেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ট্রেনটি থামাল কারা? তবে সূত্রের খবর, গরু রয়েছে কি না সেটা তল্লাশি করার জন্য তারা নাকি এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। এরপর সেখান থেকে ফোন করে গরু পাচার আটকানোর কথা বলা হয় বলে খবর। এরপরই ট্রেন চালানো হয়। আবার অন্য একটি সূত্র বলছে খবর পেয়েই আরপিএফ ট্রেনটি থামিয়েছিল। এরপর তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কাগজপত্রে কোনও গলদ মেলেনি। এদিকে দেরিতে চলা একটি ট্রেনকে এভাবে দাঁড় করানো নিয়ে ইতিমধ্য়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।