Halal Product Ban Reason: কেন হালাল সামগ্রী নিষিদ্ধ ঘোষণা করল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার?

গতকালই হালাল পণ্য নিষিদ্ধ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর অর্থ কী? কেনই বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত পণ্য? আদতে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত পণ্য হল সেই জিনিসগুলি, যা কি না ইসলামিক আইন মেনে তৈরি করা হয়েছে এবং ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করেই সে সব পণ্য মুসলিমরা ব্যবহার করতে পারেন। তা সে মাংস থেকে শুরু করে সাবান, তেলও হতে পারে। ‘হালাল’ শব্দটি আদলতে আরবি। এর অর্থ হল – ‘গ্রহণযোগ্য’। প্রকৃতপক্ষে ‘হারাম’ শব্দের বিপরীত হল ‘হালাল’। এই আবহে শনিবার হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত খাদ্য পণ্য নিষিদ্ধ করেছে যোগী সরকার। (আরও পড়ুন: চতুর্থ চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা চলছে, এবারের লক্ষ্য হবে কী? কবে লঞ্চ হবে রকেট?)

উল্লেখ্য, মাংসের জন্য প্রথমবারের মতো হালাল সার্টিফিকেশন শুরু হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। তার আগে হালাল সার্টিফিকেটের কোনও উল্লেখ কোথাও মেলেনি। হালাল মাংস মানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সেই মাংস খেতে পারবেন। তাদের জন্যই বিশেষ করে ‘প্রক্রিয়াকরণ’ করা হয়েছে সেই মাংস। কী হয় এই প্রক্রিয়া? মূলত জবাই করা বা বলি দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ‘প্রক্রিয়া’ মানতে হয়। হালাল মাংসের ক্ষেত্রে সেই মুরগি বা ছাগলের গলায় কোপ বসাতে হয়। তবে সেই কোপে গলা পুরোপুরি আলাদা হয় না। এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ‘বলি’র ক্ষেত্রে ‘ঝটকা’ পদ্ধতি মানা হয়। যাতে সেই জন্তুর মুণ্ডু পুরোপুরি ছিন্নি হয়ে যায়। এদিকে ১৯৯৩ সালে হালাল সার্টিফিকেশনের বিষয়টি অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।

আরও পড়ুন: বিমানকে হার মানাল রেল! ট্রেনের ‘ফ্লেক্সি ভাড়া’ গিয়ে ঠেকল ১১ হাজারে…

এদিকে সম্প্রতি বন্দে ভারতে একটি চায়ের স্যাশে-তে হালাল সার্টিফিকেশন থাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই সময় একজন যাত্রী রেলের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল যে হালাল পণ্যের অর্থ কী? জবাবে রেল বলেছিল, এই সার্টিফিকেশনটি মুসলিম দেশের জন্য। সেখান থেকে পণ্যটা আমদানি করা হয়েছে বলে তাতে সেই সার্টিফিকেশন ছিল। উল্লেখ্য, শুধু খাদ্য সামগ্রী নয়, কসমেটিক্স এবং অন্যান্য পণ্যেও দেওয়া হয়ে থাকে হালাল সার্টিফিকেশন।

আরও পড়ুন: হুমকি জঙ্গি নেতার, বিশ্বকাপ ফাইনাল বানচালের ছক খলিস্তানিদের, সতর্ক পুলিশ

তবে কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল হালাল পণ্য? উত্তরপ্রদেশ সরকার বলছে, তেল, সাবান, টুথপেস্ট এবং মধুর মতো নিরামিষ পণ্যগুলির জন্য হালাল শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এখানে এই জাতীয় কোনও শংসাপত্রের প্রয়োজনই নেই। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় এবং তাদের পণ্যগুলির উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এর মাধ্যমে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে করা হয়েছে। তাছাড়া বিভ্রান্তি রোধ হবে এই নিষেধাজ্ঞার ফলে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার থেকে রফতানিকারক পণ্যগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।