Rail track security: রেল লাইন নজরদারি করতে নিযুক্ত কর্মীদের আনা হচ্ছে GPS সিস্টেমের আওতায়

রেল লাইনে ফাটল বা অন্য কোনও ধরনের সমস্যার ফলে অনেক সময় রেল দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সাধারণত এই সমস্ত ট্র্যাকের উপরে নজরদারি চালিয়ে থাকেন পেট্রোল ম্যান এবং কি ম্যানরা। এই নজরদারি ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে শিয়ালদহ ডিভিশনে ইতিমধ্যেই এই সমস্ত কর্মীদের জিপিএস ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে রেল লাইনগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থা আগের থেকে অনেকটা উন্নত হয়েছে। যারফলে যাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়া আরও সম্ভব হয়েছে বলে দাবি রেলের।

আরও পড়ুন: আজ ৭টি স্পেশাল ট্রেন ছুটবে এই রুটে, অত্যুৎসাহী যাত্রীদের দৌলতে পকেট ভড়ছে রেলের

এই দুধরনের কর্মীদের জিপিএস ব্যবস্থার আওতায় আনতে কয়েক বছর আগে কাজ শুরু হয়েছিল শিয়ালদহ ডিভিশনে। দু বছর আগে ৪১৮ জন কর্মীকে জিপিএস ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে রেল লাইনের উপর নজদারি আরও ভালোভাবে হচ্ছে বলেই জানিয়েছে রেল। সাধারণত বর্ষার সময় অনেক রেল লাইনের একাধিক জায়গায় জল জমে বা লাইনের নিচে মাটি ধুয়ে গেল রেলপথ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। আবার রেল লাইনে ফাটলও দেখা যায়। বিশেষ করে শীতকালে সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে রেল লাইনে ফাটলের ঘটনা বেশি ঘটে। সে ক্ষেত্রে ফাটা ট্র্যাকের উপর দিয়ে ট্রেন চললে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্ত বিষয়ের উপরেই নজরদারি চালিয়ে থাকেন পেট্রল ম্যান এবং কি ম্যানরা। 

দিনের বেলায় নজরদারিতে কোনও সমস্যা না হলে রাতের বেলায় টর্চ, সেফটি ল্যাম্প, লাল পতাকা এবং আপদকালীন পরিস্থিতিতে ট্রেন থামানোর জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে পেট্রোল মানরা রেললাইনের উপর নজরদারি চালিয়ে থাকেন। তবে কি ম্যানেরা হাতুড়ি নিয়ে রেললাইন হেঁটে নজরদারি চালান। কোথাও কোনও ফাটল রয়েছে কিনা , স্লিপার ভাঙা, ফিশপ্লেট খোলা বা প্যান্ড্রোল ক্লিপ খোলা কি না তা খতিয়ে দেখেন। যেগুলি ছোটখাটো সমস্যা তা নিজেরাই সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু বড় কোনও সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থাকে আরও সহজতর করে তুলতে এই সমস্ত কর্মীদের জিপিএস ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে গলায় মোবাইলের মতো একটি যন্ত্র ঝোলানো হয় কর্মীদের। ওই যন্ত্রের মাধ্যমে কর্মীদের অবস্থান এবং কাজের জায়গা রেল কন্ট্রোল রুম থেকে জানা সম্ভব। তাছাড়া আপদকালীন কোনও পরিস্থিতিতে সরাসরি কন্ট্রোল রুমে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে বার্তা পাঠাতে পারেন কর্মীরা। ওই সমস্ত কর্মীদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করা হয় একটি আলাদা সেলে। তাতে সহজে জানা যায়, কোথায় ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বা আবহাওয়ার প্রভাব কেমন পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতিতে কর্মীদের আরও দক্ষভাবে ব্যবহার করার পাশাপাশি কোথাও নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে জানা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে বেড়েছে যাত্রী সুরক্ষা।