কোনও অজুহাত দিচ্ছেন না রোহিত

কী দারুণ শুরু। ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান। পুরো বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখানো ভারত নিশ্চিতভাবে স্কোরবোর্ডে তিনশ দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু তারপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ২৪০ রান করে এই আসরে প্রথমবার অলআউট হয়। এত অল্প পুঁজি নিয়ে আর লড়াই করতে পারেনি ভারত। ৬ উইকেটে তাদের হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। এই হারের জন্য কোনও অজুহাত দেখালেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বরং জানিয়ে দিলেন, দলকে নিয়ে তিনি গর্বিত।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রোহিত বলেন, ‘জানি, আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তবে প্রথম ম্যাচ থেকে যেভাবে খেলেছি, তাতে আমরা গর্বিত। আজকের দিনটা আমাদের ছিল না। যতটা পেরেছি, চেষ্টা করেছি আমরা। কিন্তু আমাদের চাওয়ামতো সবকিছু হয়নি।’

৮১ রানের মধ্যে তিন উইকেট পড়ার পরও বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জুটিতে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকেন রোহিত। কিন্তু জুটিটা ৬৭ রানের বেশি হয়নি। পরের ব্যাটাররাও বড় জুটি গড়তে পারেননি। এ কারণেই হারতে হলো মনে করেন অধিনায়ক, ‘আর ২০-৩০ রান বেশি করলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো। ২৫-৩০ ওভার পর্যন্ত কোহলি-রাহুলের ব্যাটে ভেবেছিলাম লম্বা জুটি হয়ে যাবে। তাদের বলেছিলাম, যতক্ষণ পারো ব্যাটিং চালিয়ে যাও। সেই মুহূর্ত ভেবেছিলাম ২৭৫ থেকে ২৮০ রান হবে। একটার পর একটা উইকেট পড়তে থাকলো আমাদের। আমাদের জুটি লম্বা হচ্ছিল না। অথচ অস্ট্রেলিয়া সেটাই করলো, ওরা লম্বা জুটি তৈরি করে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেলো।’

ফাইনালে রোহিতকে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান হেড। করলেন ১৩৭ রান। তার সঙ্গে মার্নাস লাবুশেনের ১৯২ রানের জুটি ভারতের হৃদয় ভেঙে দেয়। রোহিত বললেন, ‘ওদের উইকেটগুলো যত দ্রুত সম্ভব আমরা ফেলে দিতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেওছি। কিন্তু পরে আর তা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেনেকে অনেক শুভেচ্ছা। ওদের লম্বা জুটিতে আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলাম।’

পিচ নিয়ে কোনও অজুহাত দেখালেন না রোহিত, ‘আমরা পরে বুঝতে পেরেছিলাম ফ্লাডলাইটের নীচে ব্যাট করা সহজ হবে। তবে এটা নিয়ে অজুহাত দিতে চাই না। আমরা আগে ব্যাটিং করে বেশি রান করতে পারিনি। তবুও পেসাররা তিন উইকেট নিয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। কিন্তু হেড-লাবুশেনের জুটিতে আমরা পাত্তা পাইনি।’