Kota Suicides: বাবা মায়েরাই সন্তানদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন, কোটায় আত্মহত্যা নিয়ে সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ

আব্রাহাম থমাস

কোটাতে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা। সবটাই কি কোচিং সেন্টারের দায়? নাকি এর পেছনে অন্য় কারণও রয়েছে? এবার এনিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোটাতে পড়ুয়াদের মধ্য়ে আত্মহত্যার প্রবণতার জন্য কেবলমাত্র কোচিং ইনস্টিটিউটের উপর দোষ দিয়ে লাভ নেই । বাবা মায়েদের উচ্চ প্রত্যাশা ছেলে মেয়েদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এদিকে বেসরকারি কোচিং সেন্টারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। তবে সেই আবেদন শুনতে চায়নি আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছেন, প্রবলেমটা বাবা মায়েদের, কোচিং সেন্টারের নয়।

এদিকে রাজস্থানে কোটাতে কোচিং নিতে গিয়ে এবার অন্তত ২৪জন পড়ুয়া আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। এনিয়ে দেশ জুড়ে উদ্বেগ। পরিস্থিতির বদল আনতে রাজস্থান সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।এমনকী রাজস্থান কোচিং ইনস্টিটিউটস কন্ট্রোল অ্যান্ড রেগুলেশন বিল ২০২৩ তৈরি হয়েছে। রাজস্থান প্রাইভেট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস রেগুলেটরি অথরিটি বিল ২০২৩ও তৈরি হয়েছে।

তবে বিচারপতি এসভিএম ভাট্টি জানিয়েছেন, আত্মহত্যা কোচিং ইনস্টিটিউটের জন্য় হচ্ছে না। আত্মহত্যার ঘটনা হচ্ছে কারণ ছেলে মেয়েরা বাবা মায়ের প্রত্য়াশা পূরণ করতে পারছে না। এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

মুম্বইয়ের চিকিৎসক অনিরূদ্ধ নারায়ণ মালপানি একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন কোচিং ইনস্টিটিউটগুলি পড়ুয়াদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাচ্চাদের পণ্য হিসাবে দেখা হচ্ছে। কোচিং সেন্টারগুলি স্বার্থ পূরণের মাধ্য়ম হিসাবে দেখছে ছাত্র ছাত্রীদের।

আইনজীবী মোহিনী প্রিয়া জানান, কোটাতে আত্মহত্যার ঘটনা হেডলাইন হচ্ছে। কিন্তু প্রাইভেট কোচিং সেন্টারগুলিতে লাগাম টানার জন্য় কোনও ব্যবস্থা নেই।

তবে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে,আমাদের মধ্য়ে অনেকেই চান না যে কোচিং সেন্টার থাকুক। কিন্তু আজকে প্রতিযোগিতা খুব কঠিন হয়ে গিয়েছে। বাবা মায়ের প্রত্যাশাও বাড়ছে। হাফ অথবা এক নম্বরের জন্য় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাচ্ছে পড়়ুয়ারা।

কোর্ট জানিয়েছে হয় আবেদনকারী রাজস্থান হাইকোর্টে যান। অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান। আমরা কীভাবে এনিয়ে একটা নিয়ম নীতি চালু করব? আবেদন প্রত্যাহার করার জন্য় অনুমতি দিয়েছে আদালত।