‘আনন্দ পাঠে’ ভিন্ন ভাবে শিক্ষাদান, ‘স্কচ’ পুরস্কার পেল বীরভূম

জেলায় পিছিয়ে পড়া পরিবারকে চিহ্নিত করে তাঁদের শিশুদের আলোর নিয়ে আসার মধ্যে দিয়ে ‘স্কচ’ পুরস্কার পেল বীরভূম। 

অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে স্কুল বাদ দিয়ে রুজি রোজগারের কাজে বেরিয়ে পড়তে হয় এই সব পরিবারের শিশুদের। পরিবারকে বিকল্প কাজর ব্যবস্থা করে দিয়ে শিশুদের স্কুলমুখী করে তুলতে পেরেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে স্কুল সময় এবং পাঠদানেক বাঁধা গতের বাইকে বেরিয়ে গিয়ে তাদের আনন্দ পাঠে উৎসাহী করে তোলা সম্ভব হয়েছে। এই সব মিলেয়ে মিলেছে স্কচের শিরোপা। 

এই পুরস্কার প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘জেলায় পিছিয়ে পড়া পরিবারকে চিহ্নিত করে তাদের প্রথম প্রজন্মকে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।শিক্ষার স্বশক্তিরকণের মাধ্যমে শিক্ষার বিকাশই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য।’

(পড়তে পারেন। হকার ঋণদানে সবার সেরা পশ্চিমবঙ্গ)

করোনাকালে শিশুদের মাধ্যে পাঠের অভ্যাস বজায় রাখতে নানা পদ্ধতির পরিকল্পনা করেছিল জেলা প্রশাসন। তাই অঙ্গ হিসাব প্রাকৃতির মাঝে পাঠাদানের আয়োজন করে ছিল জেলা প্রশাসন। এর মূল্য উদ্দেশ ছিলে করোনাকালে স্কুল না যাওয়ার অভ্যেসকে কাটিয়ে তোলা। স্কুলের সময়ের বাইরে এই পাঠ দেওয়া হয়ে।এর সঙ্গে বিভিন্ন নান্দনিক বিষয়ে আগ্রহ বাড়ানোরও চেষ্ট করা হয়ছে শিশুদের। সকাল সতটা থেকে নটা পর্যন্ত চারটে থেকে নটা পর্যন্ত একালাকার আগ্রহী কোনও ব্যক্তি এই আনন্দপাঠ দিয়ে থাকেন।

এক প্রসাশনিক আধিকারিকের কথায়, আনন্দপাঠ স্কুলের পড়াশুনার বাইরে ভিন্ন ভাবে পাঠের ব্যবস্থা। পড়ুয়ার বৌদ্ধিক এহং মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে এই পাঠ দেওয়া হচ্ছে। এলাকা ভিত্তিক সমীক্ষা করে এই পাঠদান শুরু হচ্ছে। 

বাঁকুড় জেলায় এই আনন্দপাঠ পড়ুয়াদের সাফল্যের সঙ্গে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সেই সাফল্যে মিলিছে স্কচ পুরস্কার।